Advertisement
০৬ মে ২০২৪

পরিদর্শনের কারণে বাতিল হল রক্তদান শিবির, সঙ্কট

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগে রাজ্য ও কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলের প্রতিনিধিরা লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:২৯
Share: Save:

ব্লাড ব্যাঙ্কের পরিকাঠামো পরিদর্শনে আসবেন কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের সদস্যেরা। তাই দু’দিন বন্ধ রইল রক্ত সংগ্রহের কাজ। এমনই অভিযোগ উঠল মানিকতলার কেন্দ্রীয় ব্লাড ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। যদিও এত কিছুর পরেও ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্তাদের আশঙ্কা, সব রকম চেষ্টা করেও পরীক্ষায় হয়তো এ বারও পাশ নম্বর মিলল না।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগে রাজ্য ও কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলের প্রতিনিধিরা লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু মাটিতে পড়ে থাকা রক্তের প্যাকেট, অবিভাজিত কয়েকশো ইউনিট রক্ত পড়ে থাকতে দেখে বিরক্ত হন তাঁরা। স্বাস্থ্য ভবনে সে বিষয়ে জানিয়েছিলেন পরিদর্শক দলের সদস্যেরা।

অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার ফের কেন্দ্রীয় ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের প্রতিনিধিরা।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, সোমবার তিনটি এবং মঙ্গলবার চারটি রক্তদান শিবির থেকে কেন্দ্রীয় ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু সেই শিবিরগুলি বাতিল করা হয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে আয়োজকদের জানান হয়, পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে রক্ত সংগ্রহ করা যাবে না। অভিযোগ, এটা আসলে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তাদের পরিকল্পনা। কারণ, রক্ত সংগ্রহ করা না হলে তার রক্ষণাবেক্ষণ, বিভাজন ও মান নিয়েও প্রশ্ন তোলা হবে না। ফলে এই সংক্রান্ত অভিযোগ করতে পারবেন না পরিদর্শক দলের সদস্যেরা।

যদিও মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিদর্শনের পরে ড্রাগ কন্ট্রোলের প্রতিনিধিরা জানান, হোল ব্লাড থেকে উপাদান ভাঙার সঠিক পদ্ধতি মানা হয় না। যার জেরে অনেক সময়ে রক্তের মান নেমে যায়। ফলে প্রশ্ন ওঠে ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা এ কাজে যথেষ্ট প্রশিক্ষিত কি না, তা নিয়েও।

সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিন রক্ত সংগ্রহ না হওয়ার জেরে এখন প্লেটলেট প্রায় নেই। সংগ্রহে এ পজিটিভ এবং এবি পজিটিভ হোল ব্লাডও নেই। বি পজিটিভ পড়ে রয়েছে মাত্র ১৫০ ইউনিট এবং ও পজিটিভ ১৫০ ইউনিট। নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের ভাঁড়ারেও টান পড়েছে।

এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ব্লাড ব্যাঙ্কের অধিকর্তা কুমারেশ হালদার। তিনি বলেন, ‘‘ব্যস্ত আছি, কথা বলতে পারব না।’’ স্বাস্থ্য ভবনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, রক্তদান শিবির বাতিল হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে খতিয়ে দেখা হবে। তবে ড্রাগ কন্ট্রোলের রিপোর্ট পাওয়ার আগে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE