জবরদখল হটিয়ে পথচারীদের ফুটপাথের অধিকার ফিরিয়ে দিল বিধাননগর পুরসভা। মঙ্গলবার রাতভর চলে এই উচ্ছেদ অভিযান। ডাম্পার, ক্রেন নিয়ে এসে একের পর এক স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান ভেঙে দেওয়া হয় ওই অঞ্চলে। অভিযানের শেষে পুরসভা জানিয়েছে, যে রাস্তা থেকে দোকান সরানো হয়েছে, সেখানে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না। এ দিকে, এ নিয়ে এ দিন ভিতরে ভিতরে চাপা ক্ষোভ জমা হলেও বাইরে তার তেমন কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। বিরোধী দলের কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে এর নিন্দা করলেও, হকারদের একটি প্রতিবাদ মিছিল ছাড়া বুধবার রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়নি কাউকে।
তবে সল্টলেকের সাধারণ বাসিন্দাদের অধিকাংশ পুরসভার এই পদক্ষেপে রীতিমতো খুশি বলে মনে করছে পুরসভার একাংশ। সল্টলেকে উন্মুক্ত ফুটপাথের দাবি দীর্ঘ দিনের। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ উপলক্ষে গোটা সল্টলেককে সাজাতে রাস্তা ও ফুটপাথ থেকে হকার সরানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময়ে একদল বাসিন্দা হকারমুক্ত ফুটপাথের দাবি তুলেছিলেন। তবে অনেক দিনের মধ্যে এত বড় উচ্ছেদ অভিযান দেখেনি এ শহর। অনেকের মতে, সল্টলেকের এই অভিযান মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৯৬ সালের অপারেশন সানশাইনের কথা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে একের পর এক পুলিশের গাড়ি জড়ো হয় করুণাময়ীতে। বিধাননগরের গোয়েন্দাপ্রধান শবরী রাজকুমারের নেতৃত্বে পুলিশ রাস্তার ধার থেকে লোক সরাতে শুরু করে। করুণাময়ী মোড়ের একাংশের আলো নিভিয়ে, গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় দোকান ভাঙা। সেই তালিকায় বেনফিশের দোকান, ওয়ার্ড অফিস সবই ছিল। প্রতিবাদে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে জড়ো হন হকার ও স্থায়ী দোকানদারেরা। তবে বিশাল পুলিশ বাহিনীর কাছে প্রতিবাদ স্থায়ী হয়নি। কয়েক জন দোকানদারকে আটকও করা হয়।