E-Paper

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের নিয়ম ভাঙায় শাস্তি শতাধিক হাসপাতালকে 

স্বাস্থ্য দফতরের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ পোর্টালে ওই প্রকল্পের অধীনে ‘ইনঅ্যাক্টিভ’ হাসপাতালের তালিকায় এখনও পর্যন্ত ১৪২টি হাসপাতালের নাম রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৪
hospital.

—প্রতীকী ছবি।

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বিভিন্ন সময়েই নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। অভিযুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলিকে প্রথম দিকে শুধু জরিমানা করা হলেও পরবর্তী সময়ে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতো অনিয়মের অভিযোগে গত এক বছরে কতগুলি হাসপাতাল শাস্তির মুখে পড়েছে, সেই তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে তোলা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই এমন পদক্ষেপ।

স্বাস্থ্য দফতরের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ পোর্টালে ওই প্রকল্পের অধীনে ‘ইনঅ্যাক্টিভ’ হাসপাতালের তালিকায় এখনও পর্যন্ত ১৪২টি হাসপাতালের নাম রয়েছে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময়ে সেগুলির বিরুদ্ধে কোনও না কোনও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাতে কখনও স্বাস্থ্য দফতর, কখনও স্বাস্থ্য কমিশন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে রোগী ভর্তি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আবার কোনও হাসপাতালকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প থেকে বাদও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তালিকায় থাকা তিনটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত এখনও চলছে।

তবে এ-ও জানা যাচ্ছে, হাওড়া, কলকাতা, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া-সহ অন্যান্য জেলা মিলিয়ে ১৪২টি হাসপাতালের মধ্যে বেশ কিছু হাসপাতাল শাস্তির মেয়াদ পূর্ণ করে আবার চালু হয়েছে। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের গ্রেড (হাসপাতালের পরিকাঠামোর উপরে ভিত্তি করে সেখানে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, তার গ্রেড স্থির করা হয়। এ, বি এবং সি—এই তিনটি গ্রেড রয়েছে) এখনও ‘সি’ রয়ে গিয়েছে। এক স্বাস্থ্যকর্তা জানাচ্ছেন, ওই তালিকায় এমন হাসপাতালও রয়েছে, যারা একাধিক বার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নথিভুক্ত হওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে আবেদন করেছে। কিন্তু সেই আবেদন আটকে দেওয়া হয়েছে। কারণ, একটি হাসপাতাল এক বারই আবেদন করতে পারে। তালিকায় থাকা কিছু হাসপাতাল অন্য হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে নতুন ভাবে কাজ শুরু করেছে। কোনওটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কোনও অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। হাসপাতালগুলিতে থাকা স্বাস্থ্যসাথী হেল্প ডেস্ক ঠিক মতো কাজ করছে কি না, তা-ও আচমকা পরিদর্শন করে দেখা হবে।’’ ‘প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর চেয়ারম্যান শেখ আলহাজউদ্দিন বলেন, ‘‘যারা নিয়ম ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ করুক সরকার। কিন্তু তা করতে গিয়ে যাতে সাধারণ নার্সিংহোম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Swasthya Sathi Kolkata

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy