প্রতীকী ছবি।
নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু মানুষটাকে ঠিক চিনে উঠতে পারেননি মালদহের সঙ্গীতা চক্রবর্তী। সে কারণেই বোধহয় ভালবেসে তাঁর প্রাপ্তি মর্মান্তিক মৃত্যু।বিয়ের দেড় বছরের মধ্যেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাঁকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল তাঁরই স্বামীর বিরুদ্ধে। বাগুইআটি থানা এলাকার ঘটনা।খুনের অভিযোগে স্বামী অমরনাথ দাস এবং শাশুড়ি রিনা দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সালের জুন মাসে মালদহের বাসিন্দা সঙ্গীতার সঙ্গে বাগুইআটির আদর্শপল্লীর বাসিন্দা অমরনাথ দাসের বিয়ে হয়। দু’জনেরই আগে থেকে পরিচয়। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে দুই বাড়িতে কোনও আপত্তিও ছিল না। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই ক্রমে যেন অচেনা হয়ে উঠছিলেন অমর। তাঁর উপর অত্যাচারও করা হত বলে অভিযোগ সঙ্গীতার বাপের বাড়ির। ২৬ অক্টোবর রাতে সঙ্গীতাকে মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতদিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু শরীরের বেশিরভাগটাই পুড়ে যাওয়ায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা। রবিবার ভোরে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সঙ্গীতার মৃত্যুর পরই তাঁর বাবা সন্তোষ চক্রবর্তী পুলিশের কাছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়ের উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করতেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃতের বাবার অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অমরনাথ ও রিনাকে।
আরও পড়ুন: রাজনীতির ‘মোহরা’ বানাতেই মা-বাবা জোর করে বিয়ে দিয়েছিলেন, বিস্ফোরক লালুপুত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy