সিউড়ি আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি থামিয়ে তাঁকে নিগ্রহ করে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেছিল স্থানীয় একদল যুবক। রবিবারের সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার খোদ কলকাতায় কালীপুজোর চাঁদার জুলুমের অভিযোগ উঠল।
পুলিশ জানায়, শরৎ বসু রোডের একটি পানশালায় গিয়ে ওই এলাকারই একটি ক্লাবের এক সদস্য কালীপুজোর চাঁদা হিসেবে ৪০ হাজার টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন বলে সোমবার রাতে লেক থানায় অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ জানান পানশালার ম্যানেজার কমল স্বর্ণকার। ওই রাতেই জুলুম করে চাঁদা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে বুবুন ভট্টাচার্য নামে ক্লাবের ওই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে অভিযোগ জামিনযোগ্য হওয়ায় তাঁকে থানা থেকেই জামিন দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে রাজা বসন্ত রায় রোডের ওই কালীপুজো কমিটির তরফে বুবুন ওই পানশালায় চাঁদা আদায় করতে যান। অভিযোগ, তিনি পুজোর ভোগ বাবদ চল্লিশ হাজার টাকা চান। এমনকী ওই টাকা না দিলে পুজোর ভোগ কিনে দিতে হবে বলে জোর করতে থাকেন। ভোগের একটি ফর্দও তিনি সেখানকার কর্মীদের হাতে তুলে দেন বলে অভিযোগ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, পানশালা কতৃর্পক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তার জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এর মধ্যেই পানশালার কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়, ওই টাকা চাঁদা বাবদ দেওয়া না হলে পানশালা বন্ধ করে দেওয়া হবে। পুলিশ জানায়, ওই ঘটনার পরেই পানশালার ম্যানেজার কমলবাবু লেক থানায় যোগাযোগ করেন। বুবুন ভট্টাচার্য-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত বুবুনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ জানায়, বুবুন আগে ওই এলাকায় থাকলেও এখন মধ্যমগ্রামে থাকেন। ওই ক্লাবের কালীপুজোর ভার নিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ক্লাবের আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ ওঠায় তাঁদের সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এ দিন দুপুরে ওই ক্লাবের পুজো মণ্ডপের সামনে গিয়ে দেখা যায়, দুই যুবক মণ্ডপের সামনে মাটি এবং ইট দিয়ে যজ্ঞস্থল তৈরিতে ব্যস্ত। তাঁরা জানান, পানশালা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভুল বোঝাভুঝি হয়েছিল। বিষয়টি পরে মিটেও গিয়েছে। তবে ওই পানশালায় যাওয়া হলে সেখানকার কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁরা জানান, যা বলার পুলিশকে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy