Advertisement
E-Paper

রবীন্দ্র সরোবরে কম্প্যাক্টর বসানোর তৎপরতা শুরু

সূত্রের খবর, সরোবর পরিষ্কার রাখতে কেএমডিএ কলকাতা পুরসভারই সাহায্য নেয়। কারণ, জঞ্জাল পরিষ্কার করার মতো পরিকাঠামো তাদের নেই। রবীন্দ্র সরোবর থেকে সংগৃহীত জঞ্জাল পরিষ্কার করার জন্য কেএমডিএ একটি কম্প্যাক্টর দেওয়ার জন্য পুরসভাকে অনুরোধ করেছিল।

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪৪
রবীন্দ্র সরোবর দ্রুত কম্প্যাক্টর বসানোর জন্য তৎপরতা শুরু করল কেএমডিএ।

রবীন্দ্র সরোবর দ্রুত কম্প্যাক্টর বসানোর জন্য তৎপরতা শুরু করল কেএমডিএ।

রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে কম্প্যাক্টর নির্মাণের জন্য নগরোন্নয়ন দফতর বছর দু’য়েক আগেই অর্থ বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু সেই টাকা এখনও খরচ করা হয়নি। সরোবর চত্বরের একাংশেই খোলা জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয় সরোবরের আবর্জনা। বৃহস্পতিবার রাতে সেই আবর্জনায় আগুন লাগার ফলে দ্রুত কম্প্যাক্টর বসানোর জন্য তৎপরতা শুরু করল কেএমডিএ। সূত্রের খবর, কেএমডিএ নিজেরাই ওই কম্প্যাক্টর কিনতে পারে অথবা কলকাতা পুরসভাকেও কম্প্যাক্টর কেনার জন্য ওই টাকা দেওয়া হতে পারে। আগামী সপ্তাহেই কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে দ্রুত নিষ্পত্তি চান কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা।

সূত্রের খবর, সরোবর পরিষ্কার রাখতে কেএমডিএ কলকাতা পুরসভারই সাহায্য নেয়। কারণ, জঞ্জাল পরিষ্কার করার মতো পরিকাঠামো তাদের নেই। রবীন্দ্র সরোবর থেকে সংগৃহীত জঞ্জাল পরিষ্কার করার জন্য কেএমডিএ একটি কম্প্যাক্টর দেওয়ার জন্য পুরসভাকে অনুরোধ করেছিল।

প্রশ্ন উঠেছে, প্রস্তাবিত কম্প্যাক্টর তৈরি হল না কেন?

কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল দফতরের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘কম্প্যাক্টর বসানোর জন্য প্রয়োজন জায়গার। রবীন্দ্র সরোবর চত্বরের মধ্যে কম্প্যাক্টর স্টেশন তৈরির জায়গা ছিল না। টাকারও সমস্যা ছিল। তবে, রবীন্দ্র সরোবরের বাইরে সাদার্ন অ্যভিনিউয়ের ধারেই সরোবর লাগোয়া একটি আধুনিক কম্প্যাক্টর তৈরি করছে পুরসভা।’’ মেয়র পারিষদের কথায়, সরোবর চত্বরের ভিতরে কোনও জায়গা কেএমডিএ চিহ্নিত করতে পারলে পুরসভা পরবর্তীকালে সেখানে কম্প্যাক্টর তৈরির সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বর্তমানে সরোবরের যে অংশে জঞ্জাল ফেলা হয় সেখানে ছোট বা ‘মোবাইল’ কম্প্যাক্টর বসানোর মতো জায়গা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও, কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ কম্প্যাক্টর কেনার জন্য ৬০ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই ধার্য করেছেন। সেই টাকা পড়ে রয়েছে। পুরসভাকে এই অর্থ কম্প্যাক্টর কেনার জন্য দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পুরসভা কোনও কারণে এই যন্ত্র না বসালে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষই সেটি কিনবেন বলেও ভাবনাচিন্তা ছিল। বর্তমানে পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার মেয়র হওয়ার দরুণ বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের আশা।

কেএমডিএ আধিকারিকদের একাংশের দাবি, জঞ্জাল অপসারণের যে পরিকাঠামো থাকা দরকার, তা কেএমডিএ-র নেই। সুতরাং জঞ্জাল সংগ্রহ করে তা পুরসভাকেই ফেলতে হয়। কিন্তু পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ডিজেল চালিত গাড়ি কোনও ভাবেই সরোবর চত্বরে প্রবেশ করানো যাবে না। সেই কারণে কম্প্যাক্টর থেকে জঞ্জাল বহনের গাড়ি আনার ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা রয়েছে। যদিও আধিকারিকদের দাবি, কম্প্যাক্টর তৈরির জন্য যে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে সেই জায়গা সরোবর চত্বরের বাইরে। ফলে, সেখানে ডিজেল চালিত গাড়ি এসে জঞ্জাল নিয়ে যেতে পারবে।

Compactor Waste Management KMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy