রামগড়ের বিদ্যাসাগর কলোনিতে জন্ডিস আক্রান্তের বাড়িতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
কয়েক বছর আগে দু’দফায় শহরের দু’টি অঞ্চলে বড় ‘ডগ পাউন্ড’ তৈরির পরিকল্পনা করেছিল কলকাতা পুরসভা। এক বার সেই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে জমিজটের কারণে। আর এক বার পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র না মেলায় এগোয়নি কাজ। বর্তমানে বাইপাসের কাছে এবং এন্টালিতে পুরসভার দু’টি ডগ পাউন্ড রয়েছে। কিন্তু কুকুরদের নির্বীজকরণের পরে রাখার জন্য আরও ডগ পাউন্ড অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন পুরকর্তারা। তবু বছরের পর বছর ঘুরলেও হয় না কোনও সুরাহা।
পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, শহরে যে বড় ডগ পাউন্ড প্রয়োজন, তা জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘পুরসভা অনেক বরাই বড় ডগ পাউন্ড তৈরির চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন কারণে নানা সময়ে জমিজটে আটকে গিয়েছে এই প্রকল্প।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১০ সালে তৃণমূলের বোর্ড ক্ষমতায় আসার পরেই বানতলার কাছে একটি বড় ‘ডগ পাউন্ড’ তৈরির চেষ্টা হয়। এই প্রকল্পের জন্য যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেটি পূর্ব কলকাতা জলাভূমির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে পরিবেশ দফতর সেখানে কোনও নির্মাণের অনুমতি দেয়নি। পরিবেশ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই জলাভূমি ‘রামসার’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। সে কারণে কোনও নির্মাণকাজ এখানে চলতে পারে না। রামসার কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই নির্মাণকাজ করা সম্ভব।’’ এর পরেই কলকাতা পুরসভা এখানে ‘ডগ পাউন্ড’ তৈরির পরকিল্পনা বাতিল করে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পরবর্তীকালে, ক্যানাল ইস্ট রোডেও একটি এলাকা এই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করা হয়। কলকাতা পুরসভার আধিকারিকেরা জানান, এই জমিিট মূলত জঞ্জাল ফেলার জন্যই ব্যবহার করা হত। সেখানে নির্মাণকাজের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষার পরে স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, এই জমিতে কোনও নির্মাণপ্রকল্প করলে পরিকাঠামোগত কারণে তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে না। পরবর্তীকালে ধাপার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে ওই অঞ্চলগুলি বাদ দিয়ে যদি বাইপাস বা শহরতলির কোথাও জমি নির্বাচন করে ডগ পাউন্ড তৈরি করা যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy