Advertisement
২৪ মে ২০২৪
কলকাতা বিমানবন্দর

উচ্চ মানের পরিষেবা দিতে নতুন উদ্যোগ

কলকাতায় বিমানযাত্রীদের উচ্চ মানের পরিষেবা দিতে পেশাদার পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করলেন বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ।

সুনন্দ ঘোষ
শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৬ ০১:২০
Share: Save:

কলকাতায় বিমানযাত্রীদের উচ্চ মানের পরিষেবা দিতে পেশাদার পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করলেন বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ।

দিল্লির ওই সংস্থার প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের চাহিদা বুঝে নেওয়া কাজ শুরু করেছেন। বিমানবন্দরের অধিকর্তা অতুল দীক্ষিত বলেন, ‘‘যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ নামে ওই সংস্থার পরামর্শ মতো ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে টানা ছ’মাস বিমানযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে ওই সংস্থা। ফলে আমাদের আশা, তাদের কাছ থেকে আরও অনেক পরামর্শ মিলবে।’’

অতুলবাবু জানান, এখন দেশের অনেক বিমানবন্দরে ইন-লাইন ব্যাগেজ চেক-ইন থাকায় যাত্রী সরাসরি চেক-ইন কাউন্টারে পৌঁছে যান। যেখানে চেক-ইন কাউন্টারের কনভেয়ার বেল্টে ব্যাগ দিলে সেখানেই তা এক্স-রে হয়ে যায়। আলাদা করে ব্যাগ এক্স-রে করার প্রয়োজন
হয় না। কলকাতা বিমানবন্দরে এসেও অনেক যাত্রী তাই সোজা চেক-ইন কাউন্টারে চলে যান। কিন্তু
কলকাতায় এখনও ইন-লাইন চেক-ইন ব্যবস্থা চালু হয়নি। ফলে টার্মিনালে ঢুকে আগে চেক-ইন ব্যাগ (যে ব্যাগ বিমানের পেটের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়) এক্স-রে করিয়ে নিয়ে তার
পরে চেক-ইন কাউন্টারে দাঁড়ানোর কথা যাত্রীর।

অধিকর্তা বলেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে চেক-ইন কাউন্টারে পৌঁছনোর পরে যাত্রী জানতে পারছেন, তাঁকে ব্যাগ এক্স-রে করিয়ে আনতে হবে। এতে বিরক্ত হচ্ছেন অনেকেই।’’

সমীক্ষা করে দিল্লির সংস্থা এই সমস্যা সমাধানের কথা জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, টার্মিনালের দোতলায় প্রতিটি গেট দিয়ে ঢোকার পরেই তাই সম্প্রতি নির্দেশিকা বা সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। যেখানে যাত্রীদের চেক-ইন ব্যাগ আগে এক্স-রে করানোর কথা বলা আছে।

সেই সাইনবোর্ডটি কোনও যাত্রী দেখতে না পেয়ে সোজা চেক-ইন কাউন্টারে চলে যেতে পারেন— এমন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে চেক-ইন কাউন্টারের কাছে বোর্ড লাগানো হয়েছে। তাতে লেখা থাকছে,
‘‘দয়া করে চেক-ইন ব্যাগ এক্স-রে করিয়ে আনুন।’’

কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে সস্তার বিমানসংস্থার যাত্রীরাই বেশি যাতায়াত করেন। আগে কখনও বিমানে ওঠেননি, এমন যাত্রীর সংখ্যাও কম নয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এমন অনেক যাত্রীই এত বড় টার্মিনালে ঢুকে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। প্রথম বার বিমানে চড়ার ক্ষেত্রে কিছু আশঙ্কা কাজ করে তাঁদের। সমীক্ষা চলাকালীন উত্তর-পূর্ব ভারতের এমন বেশ কিছু যাত্রীর হদিশ পেয়েছেন পরামর্শদাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা। এই ধরনের যাত্রীদের কথা ভেবে সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী ‘কাস্টমার সার্ভিস এজেন্ট’ হিসেবে কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানান অতুলবাবু। আপাতত তিন জন এজেন্ট নেওয়া হবে,
যাঁরা কখনও টার্মিনালে ঢোকার
গেটের সামনে দাঁড়িয়ে, কখনও তার ভিতরে ঘুরে এমন বিভ্রান্ত যাত্রীদের সাহায্য করবেন।

অতুল বলেন, ‘‘যাত্রীদের সাহায্যের জন্য কাউন্টার রয়েছে।
কিন্তু অনেক যাত্রী সেখানে পৌঁছতে পারেন না। আমাদেরই তাঁদের কাছে পৌঁছতে হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত। কাস্টমার সার্ভিস এজেন্টদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kolkata airport delhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE