বিপদ: প্ল্যাটফর্ম থেকে নিচু মেট্রোর কামরা। এমনই দশা দক্ষিণের কিছু স্টেশনে। —নিজস্ব চিত্র।
নিউ গড়িয়ার বাসিন্দা বৃদ্ধা মেয়ের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন দমদম যাবেন বলে। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের চলন্ত সিঁড়িতে পা দিয়ে টাল সামলাতে না পেরে গড়িয়ে পড়তে শুরু করেন নীচের দিকে। মাকে ধরতে না পেরে মেয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন।
পুলিশকর্মী ও প্ল্যাটফর্মে থাকা মানুষ দৌড়ে গিয়ে যখন ওই বৃদ্ধাকে ধরেন, তত ক্ষণে তাঁর কোমরে, মাথায় চোট লেগেছে। সকলেই এসক্যালেটরের ‘সুইচ’ খুঁজছিলেন। কিন্তু সিড়ি দাঁড় করানোর সেই ‘সুইচ’ কেউ খুঁজে পাননি। পরে যখন খুঁজে পাওয়া গেল, দেখা যায় সেখানে কোনও চিহ্ন নেই যা দেখে যাত্রী কিংবা রেল পুলিশকর্মী সজাগ হবেন!
কলকাতা মেট্রোর সম্প্রসারিত স্টেশনের অধিকাংশ এসক্যালেটরের সুইচই প্রায় চিহ্নহীন। ফলে কেউ অসুস্থ হলে বা পড়ে গেলে তাঁকে বাঁচাতে দৌড়তে হবে চলমান সিঁড়ি ধরেই।
এখানেই শেষ নয়। এই সব স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে উঠতে গেলেও যাত্রীদের সতর্কতা প্রয়োজন। নইলে পা মচকানোর সম্ভাবনা। কারণ প্ল্যাটফর্ম আর ট্রেনের মধ্যে ফারাক প্রায় তিন-চার ইঞ্চি! যে সব যাত্রী নিয়মিত এ সব স্টেশন ব্যবহার করেন না, তাঁদের অধিকাংশই প্রথম বার আছাড় খান বলেই অভিযোগ। তবে এই সমস্যাগুলি শুধুমাত্র সম্প্রসারিত মেট্রো, অর্থাৎ নেতাজি থেকে কবি সুভাষ স্টেশনগুলিতেই দেখা যায়। পুরনো স্টেশনগুলিতে এ রকম কোনও সমস্যা প্রায় নেই।
কিন্তু মেট্রো যাত্রীদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যের উপর খেয়ালে এই খামতি কেন? মেট্টোর এক আধিকারিকের দাবি, কলকাতা মেট্রো স্টেশনের সম্প্রসারিত অংশ হয়েছে অনেক পরে। সেগুলি যখন তৈরি হয়, পুরনো রেকের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরে নতুন এসি রেক আসার পর দেখা যায়, সেগুলির থেকে প্ল্যাটফর্ম অনেকটাই উঁচুতে। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম ভাঙা আর সম্ভব নয়। ফলে সেই অসুবিধা নিয়েই চলছে মেট্রো। যদিও তাতে কোনও রকম অসুবিধা হয় না বলেই দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের। তাঁদের দাবি, প্ল্যাটফর্ম আর ট্রেনের মধ্যে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত ফাঁক থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy