Advertisement
১৬ জুন ২০২৪

বাণিজ্যিক বরফ রঙিন করতে পুর উদ্যোগ

গত বছর খাবার অযোগ্য বাণিজ্যিক বরফ মিশিয়ে সরবত বিক্রির ঘটনায় চিন্তায় পড়েছিল পুরসভা। কয়েক জনকে ধরা হলেও বাণিজ্যিক বরফ বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১৫
Share: Save:

বাণিজ্যিক বরফের রং বদলাতে ফের উদ্যোগী হল পুর প্রশাসন। গত বছরেও এই প্রচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত বদল করে পুরসভা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সরকার বাণিজ্যিক বরফে নীল রং বাধ্যতামূলক করেছে। ওই খবর পেয়েই ফের নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুর প্রশাসন। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে কী পদ্ধতিতে তারা ওই রং করেছে জানতে চাওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভাও সেই পথ অবলম্বন করতে চায় বলে জানান তিনি।

গত বছর খাবার অযোগ্য বাণিজ্যিক বরফ মিশিয়ে সরবত বিক্রির ঘটনায় চিন্তায় পড়েছিল পুরসভা। কয়েক জনকে ধরা হলেও বাণিজ্যিক বরফ বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, খাবার বরফ সাদা থাকবে। বাণিজ্যিক বা সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত বরফের রং পৃথক হবে। এ নিয়ে বাণিজ্যিক বরফ প্রস্তুতকর্তা-সহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের বৈঠক হয় পুরভবনে। সেখানে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, বরফে রং থাকলে সংরক্ষণে থাকা মাছ, মাংস বা শবদেহ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরেই পিছিয়ে যায় পুর প্রশাসন।

চলতি মাসে পুরসভা খবর পায় মুম্বইয়ে নীল রঙের বাণিজ্যিক বরফ তৈরি হচ্ছে এবং মহারাষ্ট্র জুড়ে সব বরফ প্রস্তুতকারীদের সেই নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। নীল রং করার রাসায়নিক প্রক্রিয়াও বলে দেওয়া হয়েছে। আর খাবার ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের বরফ পৃথক রঙের হলে ব্যবহারকারীদের যে অনেক সুবিধা হয় তা-ও প্রচারে বলা হচ্ছে। অতীনবাবু জানান, মহারাষ্ট্রের উত্তর এলেই কলকাতা পুর প্রশাসনও বাণিজ্যিক বরফের রং আলাদা করার পথে এগোবে।

যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কি ফের এ নিয়ে কথা বলা হবে? অতীনবাবুর জবাব, ‘‘মহারাষ্ট্র সরকারের জবাব আসুক। তার পরেই পুরো বিষয় নিয়ে ফের বসা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coloured Ice KMC commercial ice
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE