Advertisement
E-Paper

মাত্র এক জন টেকনিশিয়ান, দুপুরের পর রক্ত মেলে না হাসপাতালে

জায়গাটা রাজ্যের অন্যতম একটি মেডিক্যাল কলেজ এবং সেখানে রোগীর সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে ওই মেডিক্যাল কলেজে দুপুর ২টোর পরে কোনও রোগীর রক্ত প্রয়োজন হলে তিনি তা না-ও পেতে পারেন।

শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৫৭

জায়গাটা রাজ্যের অন্যতম একটি মেডিক্যাল কলেজ এবং সেখানে রোগীর সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে ওই মেডিক্যাল কলেজে দুপুর ২টোর পরে কোনও রোগীর রক্ত প্রয়োজন হলে তিনি তা না-ও পেতে পারেন। এমনকী, রক্তের অভাবে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে! কারণ, ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার নিয়ম থাকলেও কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক খোলা থাকে টেনেটুনে এক বেলা! সেখানকার একমাত্র টেকনিশিয়ান কোনও কারণে এক দিন আসতে না পারলে গোটা দিনই ব্লাড ব্যাঙ্কের দরজায় তালা ঝুলে যায়! তখন কারও রক্ত দরকার পড়লে উপরওয়ালা বা অন্য হাসপাতালে রেফার করাই ভরসা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেও বিষয়টি নিয়ে ঘোর অস্বস্তিতে রয়েছেন। সুপার গৌতম জোয়ারদারের কথায়, ‘‘এক জন টেকনিশিয়ান তো সারা দিন কাজ করতে পারেন না। তাই এই অবস্থা। আমরা অসহায়। টেকনিশিয়ান বাড়ানোর জন্য বহু বার স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানিয়েছি। লাভ হয়নি।’’ অথচ, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গিয়েছে সম্পূর্ণ উল্টো সুর। তিনি বলেন, ‘‘ওই হাসপাতালে যে টেকনিশিয়ান নিয়ে সমস্যা, এটা জানা ছিল না। এমন হওয়ার কথা নয়। পৃথা সরকারকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করুন।’’ রাজ্য এড্‌স প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রকল্প-অধিকর্তা হওয়ার সুবাদে সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি দেখার দায়িত্ব পৃথাদেবীরই। তাঁর কথায়, ‘‘সাগর দত্তের বিষয়টি খোঁজ নিতে হবে। তবে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে টেকনিশিয়ান নিয়োগ শুরু হয়েছে।’’

শনিবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ সাগর দত্তের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখা গেল, গ্রিলের বড় গেটে তালা ঝুলছে। জানা গেল, একমাত্র টেকনিশিয়ান ওই দিন দুপুরে একটি কাজে মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। সে জন্যই বেলা ১২টার পর থেকেই বন্ধ ছিল ব্লাড ব্যাঙ্ক। ওই হাসপাতালে বিকেল কিংবা রাতে রক্তের প্রয়োজন হলে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় রোগীর পরিজনেদের। রাতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কিংবা অন্য কোনও রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে তাঁকে নিয়ে যেতে হয় আর জি কর হাসপাতালে। পথে যেতে যেতে আহতের অবস্থার অনেক সময়ে অবনতিও হয়। কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) বিমল সাহা বলেন, ‘‘সুপারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে বিষয়টি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে জানাব।’’দুপুরের পরে রক্ত চাই? অন্যত্র যান

Blood Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy