খুনের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা নগর ও দায়রা আদালত। ১১ বছর পরে সোমবার এডওয়ার্ড কস্টার নামে ওই যুবককে বেকসুর মুক্তি দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নিশিথা মাত্রে এবং বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
পুলিশ জানায়, ১৯৯৯ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে তালতলা থানা এলাকার সারেং লেনের বাসিন্দা মহম্মদ মাসুমকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। এনআরএসে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই রাতেই মাসুমের স্ত্রী নূরজাহান বেগম থানায় অভিযোগ জানান, পুরনো শত্রুতার জেরে খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। কিন্তু ওই মহিলা নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করেননি। তবে মাসুমের মেয়ে তাবসুম নাজ পরে পুলিশে অভিযোগ করেন, স্থানীয় আবদুল হালিম লেনের বাসিন্দা এডওয়ার্ড কস্টার ওরফে এডু কয়েকজন সঙ্গী-সহ তাঁর বাবাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
পুলিশ জানায়, তাবসুমের অভিযোগের খবর পেয়ে এডওয়ার্ড মুম্বই পালিয়ে গিয়েছিলেন। ওই বছরের ২৯ মে তাঁকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর ২০০৩ সালের ৩০ জুন কলকাতা নগর ও দায়রা আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেয়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরেই কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেন এডওয়ার্ড। তাঁর আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল এবং কৃষাণ রায় আপিলের শুনানিতে আদালতে জানান, মাসুমকে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। অথচ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। যে চার জনকে পুলিশ সাক্ষী করেছিল, তাঁদের দু’জন সাক্ষ্য দেওয়ার সময়ে বিগড়ে যান। অন্য দু’জনকে পুলিশ আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির করাতে পারেনি। তা ছাড়া, মাসুমের মেয়ে এডওয়ার্ডকে খুন করতে দেখেননি। আইনজীবীরা এ দিন জানান, তথ্যপ্রমাণের অভাবেই তাকে বেকসুর মুক্তি দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy