জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। ছবি: সারমিন বেগম।
সন্ধ্যা নাগাদ ধর্মতলায় এসে পৌঁছয় জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল। সেখানেই রাস্তার উপর বসে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ, ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে তাঁদেরই এক সতীর্থকে লাথি মারা হয়েছে। টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেন পুলিশ এমন করল, তার জবাব চান জুনিয়র ডাক্তারেরা। যে পুলিশ আধিকারিক এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাঁকে এসে তাঁদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির সঙ্গে জুড়ল নতুন দাবি।
রাস্তা থেকে সরে পাশে কোথাও বসার জন্য আন্দোলনকারীদের কাছে অনুরোধ পুলিশের। তবে এখনও জায়গা ঠিক হয়নি।
ধর্মতলাতে বৃষ্টি মাথায় করেই অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে আলোচনা চলছে তাঁদের মধ্যে।
কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে অপেক্ষারত তাঁদের কয়েক জন সহকর্মীকে টানা হিঁচড়ে করা হয়েছে। আপন সামন্ত নামে এক ইন্টার্নের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
রাস্তায় বসে পড়লেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ছবি: সারমিন বেগম।
জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলের জেরে ধর্মতলায় যানজট। সেই যানজটে আটকে গেল বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে স্পিকারের গাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
যানজটে আটকে যায় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। ছবি: শোভন চক্রবর্তী।
জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলের শুরুতেই যে ট্যাবলো আছে, তাতে রাখা একটি বড় ঘড়ি। আন্দোলনকারীদের দাবি, ধর্মতলায় মেট্রো স্টেশনের সামনে ওই ঘড়ি টাঙিয়ে দেওয়া হবে। সেই ঘড়ি ধরেই রাজ্য সরকারকে সময় বেঁধে দিতে চান তাঁরা।
মিছিলের ট্যাবলোতে বড় ঘড়ি। ছবি: শোভন চক্রবর্তী।
রায়বিঘির বাসিন্দা বিজেন্দ্র বৈদ্য। স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলে দেখা গেল তাঁকে। হাতে ধরা নানা ধরনের পোস্টার। সবেতেই রঙ-তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিবাদের ভাষায়। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিন নানা কাজে আসতে পারিনি। আজ যদি না আসতাম, তবে আন্দোলনে থাকতে পারতাম না।’’ যদিও বিজেন্দ্র মনে করেন, কর্মবিরতি না করেও অন্য পথে আন্দোলন করা যায়।
পোস্টার হাতে সুন্দরবন থেকে মিছিলে শিক্ষক। ছবি: শোভন চক্রবর্তী।
জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই ধর্মতলা পৌঁছবে। বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ মিছিল রয়েছে পার্ক স্ট্রিটে। ধর্মতলায় পৌঁছে কী সিদ্ধান্তের কথা জানান তাঁরা সে দিকেই নজর সকলের।
বিকেল সাড়ে ৫টার নাগাদ ময়দান এলাকায় পৌঁছয় জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল। সেই মিছিলেন পা মিলিয়েছেন সাধারণ মানুষেরাও।
শুক্রবারের জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলে সামিল হয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারেরা ন্যায্যা দাবিতে আন্দোলন করছেন। আমরা প্রথম দিন থেকে তাঁদের পাশে আছি।’’
এসএসকেএম থেকে শুরু হওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল পায়ে পায়ে এগিয়ে চলেছে ধর্মতলার দিকে। বিকেল ৫টা নাগাদ মিছিল রবীন্দ্র সদন পার করেছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, প্রথম দিন থেকে তাঁরা নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে রাজপথে রয়েছেন। যত দিন না সুবিচার মিলছে আন্দোলন চালিয়ে য়াবেন তাঁরা।
আন্দোলনের সম্ভাব্য অভিমুখ এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ঠিক করতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা জিবি (জেনারেল বডি) বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই বৈঠকের নির্যাস এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি জানা না-গেলেও, জুনিয়র ডাক্তারদের সূত্রে খবর, বৃহস্পতির কনভেনশনে উঠে আসা অধিকাংশের মতামতকে মর্যাদা দিয়ে, কর্মবিরতি তুলে নিয়ে পুজোর আগে আন্দোলনকে অন্য মোড় দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে নানা স্তর থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy