তিনি যে বেঁচে আছেন, এখনও সেটাই বিশ্বাস হচ্ছে না!
ঘটনার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মহেশতলার আক্রা ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা সুবোধ সামন্তের আতঙ্ক কাটছে না। বাড়িতে বসে বৃহস্পতিবার সুবোধ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার আলিপুর থেকে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। মাঝেরহাট সেতু দিয়ে যখন নামছি, আচমকা বিকট আওয়াজ হল। গাড়ি নিয়ে সোজা নীচে গিয়ে পড়লাম। জোর ঝাঁকুনি। পড়ার পরে ডান হাত প্রায় অসাড় হয়ে গেল। কোনও রকমে নামতেই দেখি চারদিকে ধুলো উড়ছে। একটু এগোতেই বুঝলাম কোমরে অসহ্য যন্ত্রণা। একটা ছেলে সিমেন্টের চাঙড়ের তলায় পড়ে রয়েছে। চারদিকে শুধু চিৎকার, আর্তনাদ।’’ তিনি জানালেন, সে সময়ে চারদিকে বহু মোটরবাইক উল্টে পড়ে ছিল। বেশ কয়েক জন মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন। কয়েকটি গাড়ি দুমড়েও গিয়েছিল।
এর পরে তিনিও সাহায্য চেয়ে চিৎকার শুরু করেন, জানালেন সুবোধবাবু। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘চার দিক থেকে লোকে ছুটে আসছিলেন। মোবাইলে ছবি তুলছিলেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছিলেন না।’’ কিছু ক্ষণ পরে মেট্রোর কয়েক জন শ্রমিক এগিয়ে যান। তার পরে পুলিশ। সুবোধ দাঁড়াতে পারছিলেন না। তাই কোনওমতে একটু এগিয়ে আবার রাস্তায় বসে পড়েন। পেশায় ব্যবসায়ী সুবোধ জানান, এর কিছু পরে পুলিশ আসতে থাকে। একে একে জখমদের তোলার কাজ শুরু হয়। সুবোধ বলেন, ‘‘আমার নজর ছিল সিমেন্টের চাঙড়ের তলায় ওই ছেলেটির দিকে। হাত-পা নাড়ছিলেন। ওঁকে উদ্ধারও করা হল। পরে শুনলাম, ওঁর মৃত্যু হয়েছে।’’