হাসপাতাল থেকে তৈরি হওয়া সংক্রমণকে যদি চিকিৎসায় গাফিলতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে সকলের তৎপরতা বাড়বে। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং এডিনবরার রয়্যাল কলেজ অব ফিজিসিয়ান, অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিসিয়ান অব ইন্ডিয়া-র উদ্যোগে শহরে শুরু হওয়া চিকিৎসক সম্মেলনের প্রথম দিন শনিবারেই উঠে এল এই দাওয়াই-এর প্রস্তাব।
হাসপাতাল হয়ে উঠছে সংক্রমণের আঁতুড়ঘর। যে কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে রোগীর শরীরে ধরা পড়ছে নানা সংক্রমক রোগ। অধিকাংশক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর শরীরে জীবাণু বাসা করছে। যার জেরে একদিকে যেমন রোগীর হাসপাতালে থাকার মেয়াদ বাড়ছে, বিল বাড়ছে, কমছে জীবনীশক্তি। অন্যদিকে হাসপাতালের পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এ দিন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমীক্ষার পরিসংখ্যান তুলে ধরে মায়ানমার অক্সফোর্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ইউনিটের বিজ্ঞানী এলিজাবেথ অ্যাসলি জানান, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন রোগী হাসপাতালের সংক্রমণের জেরে মারা যান। আইসিইউ-তে ভর্তি হওয়া রোগীদের ৬০ শতাংশ সংক্রমণের শিকার হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় বা অস্ত্রোপচারের পরে এই সংক্রমণ বাসা বাঁধে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক পিয়ারলেস হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, চিকিৎসক সুজিত কর পুরকায়স্থ বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্মী, নার্সের পাশাপাশি চিকিৎসককেও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। রোগী দেখার আগে তিনি নিজে কতটা পরিষ্কার সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।’’ প্রত্যেক হাসপাতালে নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক পলিসি থাকাও বাধ্যতামূলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy