হাওড়া স্টেশনে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ করা নিয়ে পূর্ব রেলের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রকল্পের কর্তারা। মঙ্গলবার ওই বৈঠকে হাওড়ার মতো ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে যাত্রী নিরাপত্তা বজায় রেখে সুড়ঙ্গ কাটার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
এ মাসেই হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্টের কাজ চলাকালীন একটি প্ল্যাটফর্মের শেডের উপরে ক্রেনের হাতল ভেঙে পড়ে। ওই সময়ে কোনও ট্রেন না থাকায় দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এর পরেই হাওড়া ময়দান সংলগ্ন এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্টের কাজ পরিদর্শনে এসে কিছু নির্দেশ দিয়ে যান প্রকল্পের চেয়ারম্যান তথা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মূলচাঁদ চৌহান। কাজ শুরুর আগে পূর্ব রেল ও ইস্ট-ওয়েস্ট কতৃর্পক্ষের সঙ্গে আলোচনা কাজের পদ্ধতি নির্দিষ্ট করতে বলেছিলেন তিনি। এ দিনের বৈঠক তারই জের।
রেল সূত্রের খবর, প্ল্যাটর্ফমের নীচে কোথায়, কতটা এলাকা নিয়ে স্টেশন তৈরি হবে, কী ভাবে যাত্রীরা যাওয়া-আসা করবেন, কোথায় কোথায় লিফ্ট বসবে, তার নকশা মিলিয়ে কী ভাবে ওই কাজ করা হবে— এই সবক’টি বিষয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। এ দিন কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের কর্তারা পূর্ব রেলের কর্তাদের একটি সচিত্র উপস্থাপনা দেখান। তাতে তাঁরা বলেছেন, ইস্ট-ওয়েস্টের স্টেশনের জন্য হাওড়ার নীচে ২০৬.৬ মিটার লম্বা ও ৩২.২ মিটার চওড়া চারটি তল বানানো হবে। যাত্রীদের যাওয়া-আসার জন্য থাকছে একাধিক প্রবেশ ও নির্গমন পথও।
হাওড়া ময়দান থেকে হুগলি নদী পর্যন্ত ১১০০ মিটার দূরত্বে আপ-ডাউন মিলিয়ে সুড়ঙ্গ (টুইন টানেল) কাটা হবে ২২০০ মিটার। অনেক বাধা পেরিয়ে এপ্রিলের শেষ দিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আপ ও ডাউন লাইন মিলিয়ে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ হয়েছে ৪৫০ মিটারের একটু বেশি। নতুন নকশায় ময়দান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মোট সুড়ঙ্গপথের দূরত্ব হবে ৭.১৯ কিলোমিটার। প্রকল্প সূত্রে খবর, আগামী ডিসেম্বর-জানুযারির মধ্যেই সুড়ঙ্গ হুগলি নদী পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার কথা। তার পরেই নদীর তলায় জলের ১৩ মিটার নীচ দিয়ে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy