চুঁই চুঁই খিদে পেটে আর অফিস ফেরতা যাত্রীদের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এ বার মেট্রো স্টেশনগুলিতেই থাকবে শহরের নামী, দামি ব্র্যান্ডের ফাস্ট ফুড কিয়স্ক। মোমো, পিৎজা, চা, কফি, আইসক্রিম থেকে শুরু করে অনেক কিছু। ইতিমধ্যেই ১৯টি কিয়স্কের অনুমতি দিয়ে দিয়েছে মেট্রো। কিছু দিনের মধ্যেই বাকি আরও অনেকগুলি কিয়স্কের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান মেট্রো কর্তারা। তবে আপাতত কিয়স্কগুলি হচ্ছে ‘টিকেটিং জোনের’ বাইরে।
রেলের সব জোনেই এখন আয় বাড়াতে যাত্রী পরিবহণের পাশাপাশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক বিষয় খতিয়ে দেখতে বলা হচ্ছে। স্টেশনে মাল্টিপ্লেক্স থেকে শুরু করে শপিংমল, চাইলে সবই তৈরির অনুমতি দিতে বলেছে রেল বোর্ড। ৫-৭ বছরে যে হারে রেলের আয় কমছে তাতে আয়ের ক্ষেত্রে নতুন ভাবনা না নিতে পারলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যাবে বলে রেল কর্তারাই মনে করছেন।
মেট্রো সূত্রে খবর, এর পরে এই ধরনের আয় বাড়ানোর আরও পরিকল্পনা নেওয়া হবে। মেট্রো কর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই একটি নামী সংস্থার তৈরি মোমোর কিয়স্ক চালু করা হয়েছে মহানায়ক উত্তমকুমার, কালীঘাট ও কবি নজরুল স্টেশনে। বাকি কিয়স্কগুলি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে। মেট্রোর শুরুতে দমদম ও শ্যামবাজারে দু’একটি ঠান্ডা পানীয়ের স্টল ছিল। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। মেট্রো সূত্রে খবর, এ বার মেট্রোয় খাবারের কিয়স্ক খুলতে আগ্রহ দেখিয়েছে রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনও।
মেট্রো স্টেশনগুলিতে খাবারের কিয়স্ক হচ্ছে শুনে কেউ কেউ আবার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। যাত্রীদের একটি অংশের বক্তব্য, শৌচাগার ও ভেন্ডারদের আনাগোনা নেই বলে এখনও পরিচ্ছন্নতা বজায় রয়েছে মেট্রোয়। কিন্তু খাবারের স্টলের হাত ধরে লোকাল ট্রেনের মতো অপরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে না তো মেট্রো স্টেশনগুলি? এর উত্তরে মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, স্টল তৈরি হচ্ছে প্ল্যাটর্ফমের ভিতরে নয়, টিকিট কাউন্টারের আশেপাশে। আর প্রতিটি কিয়স্কের মালিককে বলে দেওয়া হয়েছে, স্টেশনের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কোনও আপস করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy