ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন।—ফাইল চিত্র।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় যাত্রী পরিবহণ শুরু করার যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ।
তবে সরকারি ভাবে উদ্বোধন হওয়ার আগে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সেই মেট্রোর যাবতীয় ব্যবস্থাপনা নিজেরাই হাতেকলমে করে দেখবেন কলকাতা মেট্রোর আধিকারিক এবং কর্মীরা।
মেট্রো সূত্রের খবর, এত দিন বেঙ্গালুরুর ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল)-এর আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে ট্রেন চালানো-সহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মেট্রোর চালকেরা। সিগন্যালিং এবং স্টেশন পরিচালনা সংক্রান্ত কাজ নিয়েও প্রশিক্ষণ চলেছে একাধিক বিশেষজ্ঞ সংস্থার নজরদারিতে। কিন্তু এ বার মেট্রোর আধিকারিকেরাই দায়িত্ব বুঝে নিয়ে আগামী এক সপ্তাহ নিজেরা সব কিছু চালিয়ে দেখবেন। ওই সময়ে স্টেশনের বুকিং কাউন্টার খোলা থেকে শুরু করে টোকেন বা স্মার্ট কার্ড দেওয়া, বিভিন্ন গেট নিয়ন্ত্রণ করা— সব কিছু করবেন তাঁরাই। বলা যেতে পারে, কার্যত পুরোদস্তুর পরিষেবা দেওয়ার ঢঙে পূর্ণাঙ্গ মহড়া দেবেন মেট্রোকর্মীরা। এ ক্ষেত্রে শুধু ট্রেন চালিয়ে দেখাই নয়, তার সঙ্গে আরও নানা ব্যবস্থাপনা মেট্রোকর্মীরা কতটা একক ভাবে সামলাতে পারছেন, তা-ও দেখা হবে।
মেট্রোর আধিকারিকদের একাংশের মতে, উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর তুলনায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রযুক্তিগত ভাবে অনেকটাই আধুনিক। ট্রেন চালানোর পাশাপাশি প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর সামলানো এবং স্বয়ংক্রিয় ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কাজকর্মের দিকে লক্ষ রাখা, সব কিছুই মেট্রোকর্মীরা একার দায়িত্বে সামলাবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা ৪ ঘণ্টা প্রতিদিন ওই অনুশীলন চলবে। প্রাথমিক পর্বে তিনটি ট্রেনকে ব্যবহার করা হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মেট্রোর কর্মীরা গত কয়েক মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পরিষেবা শুরু করার আগে মানসিক ভাবে সকলে যাতে সম্পূর্ণ তৈরি থাকতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই তাঁদের এই মহড়া।’’
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ ধরে এই মহড়া চলবে। রেলমন্ত্রক এখনও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা শুরুর দিন ঘোষণা না করলেও, যে কোনও দিন তা হতে পারে ধরে নিয়েই সব প্রস্তুতি সেরে রাখছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy