বেরোচ্ছে কালো ধোঁয়া। বৃহস্পতিবার, কলকাতা বিমানবন্দরে। নিজস্ব চিত্র
ঢাকা ও ইয়াঙ্গন যাওয়ার জন্য প্রায় ২০-২৫ জন যাত্রী অপেক্ষা করছিলেন কলকাতা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ডিপারচার লাউঞ্জে। অভিবাসন, শুল্ক কাউন্টার ঘুরে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢুকে দেহ তল্লাশিও হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। বৃহস্পতিবার বিকেল তখন প্রায় সাড়ে চারটে। হঠাৎই তার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আগুন-আতঙ্ক!
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই লাউঞ্জের গায়ে ১২ নম্বর ডিপারচার গেটের পাশেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ইউপিএস রুম। সেখানে অনেক সুইচ এবং তার রয়েছে। এ দিন বিকেলে সেখান থেকে আচমকাই ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। প্রথমে কর্মীদের মনে হয়েছিল বড়সড় কোনও আগুন লেগেছে। পরে বিমানবন্দর সূত্রে
জানা গিয়েছে, আগুন ছিল খুব সামান্যই। ওই ইউপিএস রুমের বাতানুকূল যন্ত্র থেকে কোনও কারণে আগুন ধরে। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার অ্যালার্ম বাজতে শুরু করে এবং ওই ঘরের দরজা খুলে গিয়ে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। তা দেখে অপেক্ষারত যাত্রীরা কিছুটা হতভম্ব ও আতঙ্কিতও হয়ে পড়েন।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ধোঁয়া বেরোতে শুরু হতেই দমকলে খবর দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের নিজস্ব দমকল বাহিনী রয়েছে। তারা পৌঁছনোর আগেই অবশ্য অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। তবে ততক্ষণে ধোঁয়ায় ভরে যায় পুরো লাউঞ্জ। বিমানবন্দরের নতুন এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টার্মিনাল পুরোটাই কাচে ঘেরা। ফলে সেই ধোঁয়া আটকে পড়ে টার্মিনালের ভিতরে। যে যাত্রীরা সেখানে বিমান ধরার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন, তাঁদের সরিয়ে আবার চেক-ইন এলাকায় নিয়ে আসা হয়। তার পরে একটি বিশেষ ধরনের এগজস্ট ফ্যান চালিয়ে সেই ধোঁয়া বার করা হয়। এই কাজের জন্য কিছুক্ষণ বন্ধ রাখতে হয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের ওই ডিপারচার এলাকা।
এ সবের মধ্যেই অবশ্য কিছু যাত্রীকে উড়ানে তোলার কাজ চলে। ওই সময়ে যে যাত্রীরা উড়ান ধরার জন্য বসেছিলেন, তাঁদের আবার নতুন করে তল্লাশি করে নিরাপত্তা বেষ্টনীর অন্য দিক দিয়ে ঢুকিয়ে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা অতুল দীক্ষিত জানিয়েছেন, এ দিনের এই আগুনের কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy