Advertisement
E-Paper

বাড়াতে হবে ক্যামেরা, নির্দেশ সিপি-র

হোটেলের ভিতরে যুগলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে পুলিশকে বিপাকে পড়তে হয়েছিল সেখানে কোনও সিসি ক্যামেরা না থাকায়। আবার পুজোর সময়ে কয়েক জন মত্ত যুবকের হাতে এক অভিনেত্রীর হেনস্থার অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার  ছবি অস্পষ্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৪৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

হোটেলের ভিতরে যুগলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে পুলিশকে বিপাকে পড়তে হয়েছিল সেখানে কোনও সিসি ক্যামেরা না থাকায়। আবার পুজোর সময়ে কয়েক জন মত্ত যুবকের হাতে এক অভিনেত্রীর হেনস্থার অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ছবি অস্পষ্ট।

লালবাজার সূত্রের খবর, ওই দুই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে গোটা শহরকেই সিসি ক্যামেরার অধীনে আনতে থানার আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সেই সঙ্গে শহরের ছোট ও মাঝারি হোটেলগুলির উপরে নজরদারি বাড়াতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার মাসিক ক্রাইম-বৈঠকে রাজীব কুমার শহরের প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, তাদের এলাকায় কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘শহরের বহু এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসলেও এখনও অনেক জায়গায় তা নেই। সেটাই দেখার জন্য এ দিন পুলিশ কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, ক্রাইম-বৈঠকে উঠে এসেছে শহরের হোটেলগুলির উপরে নজরদারির প্রসঙ্গও। সম্প্রতি উল্টোডাঙা এলাকার এক বধূ ও তাঁর সঙ্গীকে খুনের ঘটনাস্থল হিসেবে ধর্মতলার একটি

হোটেলের নাম তদন্তে উঠে এসেছে। সেখানে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ দেখেছে, সিসি ক্যামেরা নেই।

সেই সঙ্গে দেখা গিয়েছে, হোটেলগুলিতে নিয়ম ভেঙেই পরিচয়পত্র ছাড়া লোকজন থাকতে পারতেন। পুলিশ কমিশনার এ দিনের বৈঠকে থানাগুলিকে এই ধরনের হোটেলের উপরে নজরদারি বাড়াতে বলেছেন।

লালবাজারের একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি মোবাইল চুরির ঘটনা বেড়েছে। সেগুলি উদ্ধার হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু উদ্ধারের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে বলে কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো বন্ধেও জোর দেওয়া হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।

তবে এ দিন কয়েকটি থানার আধিকারিকেরা পুলিশ কমিশনারের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। কয়েকটি ঘটনায় গোয়েন্দা বিভাগের উপরে নির্ভর না করেই থানার আধিকারিকেরা তদন্ত করেছেন। থানার এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন পুলিশ কমিশনার। পুলিশের একটি অংশের ধারণা, বর্তমানে গোয়েন্দা বিভাগকে ‘বৃহত্তর অপরাধ’-এর তদন্ত করতে নির্দেশ দিচ্ছে উপরমহল। থানা ছোটখাটো অপরাধের কিনারা করতে পারলে সেই সব ‘বৃহত্তর’ কাজে পুলিশ কমিশনার গোয়েন্দা বিভাগকে কাজে লাগাতে পারবেন বলে মনে করছেন অনেকে।

Crime CCTV Kolkata Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy