বদলাবে পরিচিত ছবিটি। — বিশ্বনাথ বণিক
বাজারের মধ্যেই এক দিকে ঘেরা। বাজারের সব উচ্ছিষ্ট ফেলে সেখানে। পাঁচিল দিয়ে ঘেরা এই ভ্যাটের উপরে রয়েছে জাল। যাতে কাক বা পাখি এখানে এসে ভ্যাট থেকে ময়লা নিয়ে না ছড়ায়। কিন্তু সেই জালও কোথাও কোথাও ছেঁড়া। ফলে, কাকেরা আবর্জনা তুলে এখানে-ওখানে ছড়ায়। হাওয়ায় ওড়ে আবর্জনা। দুর্গন্ধে এলাকায় চলাফেরা করা দায়। বেহালার এসএনরায় রোড এবং জেমস লং সরণির মোড়ে কলকাতা পুরসভার এসএনরায় মার্কেট বা ঘোলসাপুর বাজারের অবস্থা এরকমই।
বাজারের এই ভ্যাট থেকে কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের প্রতি দিন জঞ্জাল নিয়ে যাওয়ার কথা। অভিযোগ, অনেক সময়ে এই জঞ্জাল সময় মতো অপসারণ করা হয় না। যদিও পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের দাবি, এই অভিযোগ ঠিক নয়। প্রতি দিনই আবর্জনা তোলা হয়। তবে নির্দিষ্ট সময়ে আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার পরেও জঞ্জাল জমা হতে পারে। তবে, আবর্জনা বেশি দিন জমে থাকে না বলেও তাঁদের দাবি।
এই বাজারটি কলকাতা পুরসভার ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। পুরসভা সূত্রে খবর, এই বাজারের বিক্রেতারা আগে আবর্জনা বাজারের বাইরে এক দিকে ডাঁই করে রাখতেন। পরে সেখান থেকেই পুরসভা আবর্জনা পরিষ্কার করত। বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য, এখানে-ওখানে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই বাজারের মধ্যেই একাংশে পাঁচিল দিয়ে ঘেরাটোপের ব্যবস্থা হয়েছিল। তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, বাজারের মধ্যে খোলা ভ্যাট না রেখে যদি কম্প্যাক্টর বসানো যায়, তা হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের অশোকা মণ্ডল জানান, এই বাজারটিতে যেখানে খোলা ভ্যাট রয়েছে সেখানে কম্প্যাক্টর বসানো যেতে পারে। কিন্তু কম্প্যাক্টর বসাতে গেলে যে জায়গা দরকার তা নেই। তাই কম্প্যাক্টর বসানো সম্ভব হচ্ছে না বলেও তিনি জানান।
অশোকাদেবীর কথায়, এই বাজারের পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা ছিল। তার মধ্যে অন্যতম হল নিকাশি সমস্যা। এই সমস্যা ঠিক করা হলেও জঞ্জাল অপসারণের বিষয়টি থেকেই গিয়েছে। কয়েক দিন আগেই বাজারের একাংশে ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ অংশে এখনও ছাউনি তৈরি হয়নি। এই ব্যাপারে পুরকর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পুরকর্তৃপক্ষ এই জায়গা ঘুরে দেখে তার পরে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন (ববি) বলেন, ‘‘পুরসভা এই বাজারের অনেক সংস্কার করেছে। তবে, জঞ্জাল নিয়ে এখানে কিছু সমস্যা রয়েছে। পুরসভা একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) মডেলে এই বাজার সংস্কার করবে। বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে এই ব্যাপারে আমাদের আলোচনা চলছে।’’ বর্তমানে এই বাজারে ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় ৩৫০ জন।
ঘোলসাপুর বাজার সমিতির সেক্রেটারি দিলীপ মাইতি বলেন, ‘‘পুরসভার প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এই প্রকল্প করতে গেলে বাজারের ব্যবসায়ীদের কিছু শর্ত থাকবে। তবে, এই প্রকল্পে বাজারের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে।’’ ঘোলসাপুর বাজার সমিতির সভাপতি অমল বারুই বলেন, ‘‘আমরা উন্নয়নের পক্ষেই রয়েছি। এই নিয়ে পুরসভার সঙ্গে আলোচনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy