রেনিয়া খাল সংলগ্ন কলকাতা পুর-এলাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। সেই জল নামতেও অনেক সময় লাগে। এই সমস্যার সমাধানে কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে এলাকার নিকাশির আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম দিকে কাজ শুরু হবে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর।। কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের এক কর্তা জানান, রেনিয়া খাল সংলগ্ন এলাকায় কেইআইআইপি (কলকাতা এনভায়রনমেন্ট ইম্প্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট)-র দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হবে। ভূগর্ভস্থ পাইপ বসানো ছাড়াও এখানে দু’টি আধুনিক পাম্প বসানো হবে। প্রকল্প শেষ হতে প্রায় তিন বছর লাগবে। খরচ প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
সংস্কারের অভাবে অনেক সময়েই রেনিয়া খালের জল সরতে দেরি হয়। খাল সংস্কারের জন্য রাজ্য সেচ দফতরকে জানানো হয়েছিল। সেচ দফতর সংস্কার শুরু করলে খালের নাব্যতা বাড়বে। কিন্তু যথাযথ নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময়েই জমা জল বেরোতে পারে না। পুরসভার নিকাশি দফতরের এক আধিকারিক জানান, এই প্রকল্পের ফলে কলকাতা পুরসভার ১১১, ১১২, ১১৩ এবং ১১৪ নম্বর ওয়ার্ড বেশি উপকৃত হবে। এ ছাড়া কলকাতা পুরসভা সংলগ্ন সোনারপুর পুরসভার একাংশও এই প্রকল্পে উপকৃত হবে।
নিবেদিতা পার্কের বাসিন্দা কমলেশ শিকদার জানান, বর্ষা মানেই এলাকাবাসীর আতঙ্ক। চার দিক জলে থই থই। নিকাশির লাইন নেই। তাই রোদে জল শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু হবে। ভবিষ্যতে জল জমার সমস্যা থেকে বাসিন্দারা মুক্ত হবেন।’’ একই বক্তব্য ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের।
পুরসভার ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী জানান, এই এলাকায় জল জমার সমস্যার কারণ কোনও ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা না থাকা। পুরসভা অনেক দিন আগে এই প্রকল্প গ্রহণ করলেও অর্থ বরাদ্দ না থাকায় বাস্তবায়িত হয়নি। তারকবাবুর কথায়, ‘‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে অর্থ পাওয়ার পরে কেইআইআইপি-র দ্বিতীয় পর্যায়ের এই কাজ শুরু হবে খুব। নিকাশি লাইনগুলিকে পাম্পের সঙ্গে সংযোগ করা হবে। পাম্প করে রেনিয়া খালে জল ফেলা হবে।’’ পুরসভা সূত্রে খবর, এই অঞ্চলে পাম্পিং স্টেশনের জমি অধিগ্রহণ করা নিয়েও কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যদিও পুরসভার নিকাশি দফতরের মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেন, ‘‘এই মুহুর্তে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নেই। কাজ দ্রুত গতিতেই এগোবে।’’ তারকবাবুর বক্তব্য, কেইআইআইপি-র (দ্বিতীয় পর্যায়ে) কাজে শুধু এই অংশেই নয়, বেহালা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশির আধুনিকীকরণ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy