Advertisement
১০ জুন ২০২৪
Arsenic Free Water

তিন বছরে পরিস্রুত জল সরবরাহের কাজ শেষের নির্দেশ আদালতের

প্রসঙ্গত, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জলে আর্সেনিকের উপস্থিতি নিয়ে গত মার্চে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে জাতীয় পরিবেশ আদালত।

কলকাতা পৌরসংস্থা।

কলকাতা পৌরসংস্থা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৩৩
Share: Save:

শহরে ৯৮ শতাংশ বাসিন্দার কাছেই পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে পেরেছে কলকাতা পুরসভা। বাকি জনসংখ্যার কাছে পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিস্রুত জল পৌঁছে দিতে আরও পাঁচ বছর সময় লাগবে। কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জলে আর্সেনিকের উপস্থিতি সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে এমনটাই জানিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, পাঁচ বছর নয়, এই প্রকল্প আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জলে আর্সেনিকের উপস্থিতি নিয়ে গত মার্চে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে জাতীয় পরিবেশ আদালত। সেই মামলাতেই পুরসভা আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে জানায়, শহরের প্রায় সমস্ত প্রান্তেই পাইপলাইনের মাধ্যমে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। পুরসভার হিসাব জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই শহরের ৫ লক্ষ ‘প্রেমিসেস’-এ পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যা শহরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৮ শতাংশ। বাকি পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। পুরসভা আরও জানায়, ভূগর্ভস্থ জলস্তর ‘রিচার্জ’-এর জন্য বৃষ্টির জল সংরক্ষণ নীতি বাস্তবায়নের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২০ হাজার বর্গমিটার বা তার বেশি এলাকা জুড়ে আবাসন, বহুতলের ক্ষেত্রে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ নীতি (রেনওয়াটার হারভেস্টিং) ২০১৯ সালে ‘স্টেট এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অথরিটি’-র নির্দেশিকা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় পুরসভার আইনজীবী পৃথ্বীশ বসু বলছেন, ‘‘আদালতের নির্দেশমতো নির্দিষ্ট সময়েই পানীয় জল সরবরাহের পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শেষ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata Municpal Corporation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE