Advertisement
১৬ মে ২০২৪

প্রয়োজন নেই সেপটিক ট্যাঙ্কের, শুরু নতুন প্রকল্প

শৌচাগার রাখলেই চলবে, প্রয়োজন নেই কোনও সেপটিক ট্যাঙ্কের। এমনকী তিন বছর পর থেকে বাড়ি করার সময়ে নকশা থেকেও বাদ দেওয়া যাবে সেপটিক ট্যাঙ্কের নির্ধারিত জায়গা।

চলছে কাজ।ছবি: অরুণ লোধ

চলছে কাজ।ছবি: অরুণ লোধ

সুপ্রিয় তরফদার
শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৫
Share: Save:

শৌচাগার রাখলেই চলবে, প্রয়োজন নেই কোনও সেপটিক ট্যাঙ্কের। এমনকী তিন বছর পর থেকে বাড়ি করার সময়ে নকশা থেকেও বাদ দেওয়া যাবে সেপটিক ট্যাঙ্কের নির্ধারিত জায়গা। সৌজন্যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের যৌথ প্রকল্প, ‘সিটি স্যুয়ারেজ প্ল্যান’। বজবজ পুর এলাকায় এই নিয়েই এখন আলোচনা তুঙ্গে। এই প্রকল্পের ফলে পাইপের মাধ্যমে বাড়ি থেকে শৌচাগারের বর্জ্য পরিশোধনাগারে যাবে। পরিশোধনের পরে তা চলে যাবে পুরসভার প্রধান নর্দমায়। সম্প্রতি শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের কাজ।

বজবজ পুরসভা সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের জন্য খরচ হবে প্রায় ১৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে ৭০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকার দিচ্ছে ৩০ শতাংশ। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত জানান, মোট ১৩২ কিলোমিটার এলাকায় কাজ চলছে। প্রকল্প শেষ হতে সময় লাগবে তিন বছর। নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে কেএমডিএ।

কী ভাবে কাজ হবে? গৌতমবাবু জানান, সব বাড়ির শৌচাগার মূল পাইপের সঙ্গে যুক্ত হবে। তার পরে মাটির সাড়ে সাত ফুট নীচ দিয়ে সেই পাইপগুলি এসে পৌঁছবে বজবজের বিভিন্ন জায়গায় থাকা মোট সাতটি লিফটিং স্টেশনে। পাম্পের সাহায্যে শৌচাগারের বর্জ্য আসবে ওই সব স্টেশনে। এর পরে তা পৌঁছবে প্রধান পাম্পিং স্টেশনে। সেখান থেকে তা পৌঁছে যাবে বজবজের ময়লা ডিপো এলাকায় থাকা ‘স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ বা পরিশোধনাগারে। সেখানেই বর্জ্য পরিশোধন করা হবে। সেখানে থেকে পাইপের মাধ্যমে তা যাবে পুরসভার নিজস্ব নর্দমায়।

পুরসভা সূত্রের খবর, এর মধ্যেই ১৫, ১৬, এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দশ নম্বর ওয়ার্ডে পাইপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

পুরসভা সূত্রের খবর, সাধারণত বাড়ির শৌচাগারের বর্জ্য সেপটিক ট্যাঙ্কে জমা হয়। তার পরে সেগুলি পরিশোধন না করেই ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই দূষণ ছড়ায়। সে কারণে পুরসভার তরফে কোনও স্থায়ী উপায়ের কথা ভাবা হচ্ছিল। আলোচনার পরে এই প্রকল্পের কথা ঠিক হয়।

তবে কাজ শুরুর সময়েই বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে যে পাইপগুলি যত্রতত্র ফেলে রাখা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। গৌতমবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘বর্তমানে পাইপ বসানোর কাজ চলছে। সব ঠিক হয়ে যাবে। শহরবাসীর স্বার্থেই এই প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Septic tank
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE