ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনেও পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো কম। এ দিন ছিল দর্শন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তির পরীক্ষা। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, এই দু’টি বিষয়ে উপস্থিতির হার যথাক্রমে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশের সামান্য বেশি।
সোমবার বাংলা ও ইংরেজির ভর্তি-পরীক্ষাতেও হাজিরা বেশ কম ছিল। ইংরেজিতে যাঁরা ফর্ম পূরণ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ২৭.৫%, বাংলার ক্ষেত্রে ২২% পরীক্ষা দেন।
কলা বিভাগের এক শিক্ষকের ব্যাখ্যা, যত পড়ুয়া ভর্তির জন্য ফর্ম পূরণ করেন, তাঁদের সকলে কখনওই ভর্তির পরীক্ষায় বসেন না। তাঁদের অনেকেরই অন্য কলেজ বা অন্য বিষয়ে ভর্তির ইচ্ছা থাকে। অনেকেই পছন্দের বিষয় পড়ার সুযোগ পেলে অন্যত্র চলে যান। কিন্তু এই সব কিছুর সম্ভাবনা সত্ত্বেও এ বার প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার হার চোখে পড়ার মতো কম। প্রবেশিকা নিয়ে ক্যাম্পাসে টানা উত্তেজনা, পড়ুয়াদের অনশন, বারবার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বদল— এ-সবই ভর্তি-পরীক্ষায় কম হাজিরার কারণ বলে মনে করছেন ওই শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটা-র সাধারণ সম্পাদক এবং ইংরেজির শিক্ষিকা নীলাঞ্জনা গুপ্তের মতে, প্রবেশিকা ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা অবশ্যই কম হাজিরার অন্যতম কারণ। অনেকেই হয়তো এই জটিলতায় না-ঢুকে অন্যত্র ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় ক্লাসও শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অনেকেই আর যাদবপুরে আসতে চাইছেন না। তবে নীলাঞ্জনাদেবী এখনও আশাবাদী। ‘‘ভাল ছাত্রেরা প্রতি বার যেমন যাদবপুরে আসে, এ বারেও ঠিক আসবে,’’ বলেন ওই শিক্ষিকা।
চলতি বছরে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের র্যাঙ্কিং (এনআইআরএফ)-এ দেখা গিয়েছিল, জনমানসে ধারণার ক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অনেক কম নম্বর পেয়েছে। শিক্ষা শিবিরের একাংশের ধারণা, তার পরে সম্প্রতি ভর্তি-পরীক্ষা নিয়ে যা হল, তাতে যাদবপুর সম্পর্কে জনমানসে খুব ভাল ধারণা তৈরি হচ্ছে না। প্রবেশিকার হাজিরায় তারই প্রতিফলন ঘটছে।
আজ, বুধবার ইতিহাস এবং তুলনামূলক সাহিত্যে ভর্তির পরীক্ষা নেওয়ার কথা। রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীবাবু এ দিন বলেন, ‘‘যাদবপুরে এ বার বেশ দেরিতে ভর্তির পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক আবেদনকারী অন্যত্র সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় আর যাদবপুরে হয়তো আসেননি।’’ সব বিষয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে পর্যলোচনায় বসবেন। শুধুই দেরি হয়ে যাওয়া, নাকি আরও কিছু কারণ এর পিছনে রয়েছে— সবটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy