কথা রাখতে পারল না মেট্রো। এ বছরও আসছে না নতুন রেক। ফলে শহরবাসীর মেট্রো যাত্রায় কতটা স্বাচ্ছন্দ্য বজায় থাকবে, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল।
মেট্রো কর্তারা গত তিন বছর ধরে বলে আসছিলেন, এ বছরের মাঝামাঝি মেট্রোর নতুন কয়েকটি রেক আসার কথা। পরে বলা হল, চলতি বছর শেষের আগে ওই রেকগুলি আসার সম্ভবনা। কিন্তু এখন মেট্রো কর্তারা বলছেন, আইসিএফ (ইন্ট্রিগ্যাল কোচ ফ্যাক্টরি) পেরাম্বুর থেকে প্রথম রেকটি কলকাতায় আসতে আসতে পেরিয়ে যাবে নতুন বছর। ফলে আপাতত পুরনো রেকগুলিকেই (যেগুলি এখন চলছে) কাজে লাগিয়ে নিয়মিত পরিষেবাটুকু চালিয়ে যেতে হবে মেট্রো কর্তাদের।
সেই মতো নোয়াপাড়া কারশেডে জোর কদমে চলছে পুরনো রেকগুলির খোলনলচে পাল্টানোর কাজ। মেট্রো সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে কয়েকটি রেককে সারিয়ে নতুন করে লাইনে নামানো হয়েছে। আরও তিন-চারটি পুরনো রেক শীঘ্রই নতুন ভাবে তৈরি হয়ে যাবে বলে দাবি মেট্রোর কর্তাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, এখন ২৭টি রেক দিয়ে সারাদিনে মোট ৩০০টি ট্রেন চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে ১৪টি বাতানুকূল ও বাকি ১৩টি সাধারণ। সাধারণ এই রেকগুলির বেশির ভাগই পুরনো। দফায় দফায় নোয়াপাড়ায় কারশেডে সেগুলিরই খোলনোলচে পাল্টানো হচ্ছে।
কলকাতা মেট্রোর মাঝপথে খারাপ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ার ব্যামো সকলেরই জানা। কিন্তু মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, মাস ছয়েক ধরে রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ নজর দেওয়ায় কিছুটা হলেও কমেছে এই ব্যামো। বিশেষত এ বছর পুজোর সময় থেকে মেট্রোয় যাত্রীদের আর তেমন ভোগান্তি হয়নি। মেট্রো চলছে মোটামুটি সময় মেনেই। মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘এ বছর নভেম্বরে মেট্রোর সময়ানুবর্তিতা ১০০ শতাংশ হয়েছে। যা মেট্রোর খাতায় রের্কড।’’ আর ওই কৃতিত্বের পিছনে ওই পুরনো রেকগুলির অনেকটাই অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে মেট্রো কর্তার ওই দাবি উড়িয়ে যাত্রীদের বক্তব্য, ‘এক-দু’মাস মেট্রো ভাল চলছে ঠিকই। কিন্তু তা বলেই যে আর খারাপ হবে না, সে গ্যারান্টি কে দেবে?’ কারণ, ২৭টি রেকের ১৩টি দীর্ঘদিনের। চলতে চলতে জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, রোগীকে নতুন জামা দিয়ে ঢাকলেও যেমন বোঝা যায় তিনি অসুস্থ। পুরনো রেকগুলি দেখলেও সে রকমটাই বোঝা যায়। সেগুলির শব্দে কানপাতা দায় হয়।
উত্তরে মেট্রো কর্তাদের একাংশ অবশ্য বলছেন, কথায় আছে ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে।’ এ ক্ষেত্রে বোধহয় সেটাই হচ্ছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy