—প্রতীকী চিত্র।
পরিষেবা বন্ধ রেখে ট্যাক্সিচালকদের লালবাজার অভিযানের জেরে সোমবার হয়রানির মুখে পড়তে হল যাত্রীদের। রাস্তায় যানশাসনের নামে ট্যাক্সিচালকদের নানা কারণে মামলায় জড়িয়ে হয়রান করার অভিযোগে পথে নেমেছিলেন বাম শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি-র ট্যাক্সিচালকেরা।
তাঁদের ১২ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ রাখার ডাকে এ দিন শিয়ালদহ, হাওড়া, কলকাতা স্টেশন ছাড়াও মধ্য এবং উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিষেবা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। সকাল ১০টার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন ছাড়াও উত্তর এবং মধ্য কলকাতার বিভিন্ন বাজার এলাকায় হলুদ ট্যাক্সি পেতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। গিরিশ পার্ক, গণেশ টকিজ়, বড়বাজার, পার্ক সার্কাস, গড়িয়াহাটের একাংশ, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর-সহ একাধিক এলাকায় হলুদ ট্যাক্সি পেতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয়েছে যাত্রীদের। বহু জায়গাতেই প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক ট্যাক্সি চোখে পড়েছে।
এ দিন বেলা ১২টার কিছু আগে থেকে ট্যাক্সিচালকেরা লেনিন সরণি সংলগ্ন রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুর ১টা নাগাদ ওই রাস্তা থেকে ট্যাক্সিচালকদের মিছিল শুরু হয়। মিছিলের জেরে সাময়িক ভাবে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের একাংশে যানজট দেখা দেয়। কয়েক হাজার ট্যাক্সিচালক লালবাজারের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ফিয়ার্স লেনের কাছে ব্যারিকেড করে আটকে দেয়। ট্যাক্সিচালকেরা তখন রাস্তায় বসে পড়েন। এই ঘটনায় বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট সাময়িক ভাবে অবরুদ্ধ হয়। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে যানশাসনের নামে ‘পুলিশি নির্যাতন’ বন্ধের দাবিতে ছ’দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ট্যাক্সিচালকদের যথেচ্ছ মামলায়
জড়ানোর বিরোধিতা ছাড়াও উপযুক্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থার দাবি এবং দূষণ পরীক্ষার নামে গাড়ির ইঞ্জিনের ক্ষতি করার অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ সব দাবি খতিয়ে দেখছে বলে খবর। এ দিন এআইটিইউসি-র ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে এই আচরণ চলে আসছে। যানশাসনের চেয়ে পুলিশের কাছে জরিমানা করে আয় বাড়ানোই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। অবিলম্বে এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া দরকার।’’ সার্বিক যানশাসন উন্নত না হলে এর পরে বেসরকারি পরিবহণ রুগ্ণ হয়ে পড়বে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy