মেঘের আড়াল থেকে শর নিক্ষেপ করছেন কোনও মেঘনাদ। আর, তাতে সানন্দ ঘায়েল নেটিজেনরা।
কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ জমজমাট। পুলিশের হাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায়-নাকাল হওয়ার গল্প থেকে সিকি শতাব্দী আগে হওয়া রহস্যজনক খুনের বিবরণ, আর সদ্য ঘটা অপরাধের তদন্তের গতিপ্রকৃতি, প্রতি দিন নতুন নতুন গল্প হাজির ফেসবুকে। গুরুদ্বারের প্রণামীর বাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেওয়া অপরাধী ধরা প়ড়ল কী ভাবে, বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় আসা জাহিদা চাচির পাসপোর্ট চুরি হয়ে যাওয়ার পর কী ভাবে পুলিশ তাঁর পাশে দাঁড়াল, রোজ সকালে এমনই সব কাহিনি শেয়ার হচ্ছে এক ওয়াল থেকে অন্য ওয়ালে। ঝরঝরে ভাষার গুণে প্রায় রহস্য-সাহিত্য হয়ে উঠছে সে সব পোস্ট।
লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকস্-এর অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ মৈত্রীশ ঘটক বললেন, ‘‘এ জিনিস বোধহয় শুধু কলকাতাতেই সম্ভব। কয়েকটা লেখা প়ড়েছি। অত্যন্ত পাকা হাতের ছাপ রয়েছে। কোনও পদস্থ পুলিশকর্তা এমন বাংলা আর ইংরেজি লিখছেন, ভাবতে ভাল লাগছে।’’ একটা পুরনো গল্প মনে করিয়ে দিলেন অধ্যাপক ঘটক। কলকাতায় শ্যুটিং করতে এসেছেন ফরাসি চিত্রপরিচালক লুই মাল। শ্যুটিংয়ের সময় এক পুলিশ অফিসার তাঁর পরিচয় জানতে চান, আর নাম শুনেই খুশি হয়ে তাঁর প্রথম ছবির নামই শুধু উল্লেখ করেননি, ভিড়ের উপরে হালকা লাঠিচার্জও করিয়ে দেন, যাতে অশান্ত কলকাতার ছবি তাঁর ক্যামেরায় ধরা পড়ে। লুই মাল পরে বলেছিলেন, এ জিনিস বিশ্বের আর কোথাও হতেই পারে না।