Advertisement
০৫ মে ২০২৪

বৃদ্ধা মা-কে মারধরে অভিযুক্ত পুলিশকর্তা

বৃদ্ধা মাকে মারধর করার অভিযোগ উঠল রাজ্যের এক পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে সল্টলেকে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পুলিশকর্তার নাম অনির্বাণ রায়। তিনি রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের ডিআইজি (সীমান্ত) পদে কর্মরত। তাঁর মা রেবা রায় পেশায় আইনজীবী। রেবাদেবী সল্টলেকের সিই ব্লকে থাকেন। তাঁর অভিযোগ, এ দিন বিকেল চারটে নাগাদ বাড়িতেই তাঁকে মারধর করেন ছেলে। বাড়ি থেকে বিধাননগর (উত্তর) থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশের কাছে ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন রেবাদেবী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১০
Share: Save:

বৃদ্ধা মাকে মারধর করার অভিযোগ উঠল রাজ্যের এক পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে সল্টলেকে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পুলিশকর্তার নাম অনির্বাণ রায়। তিনি রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের ডিআইজি (সীমান্ত) পদে কর্মরত। তাঁর মা রেবা রায় পেশায় আইনজীবী। রেবাদেবী সল্টলেকের সিই ব্লকে থাকেন। তাঁর অভিযোগ, এ দিন বিকেল চারটে নাগাদ বাড়িতেই তাঁকে মারধর করেন ছেলে। বাড়ি থেকে বিধাননগর (উত্তর) থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশের কাছে ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন রেবাদেবী।

এ দিন রাতে অনির্বাণবাবুর বক্তব্য জানার জন্য তাঁর বাড়িতে ফোন করা হয়েছিল। ফোনটি অন্য এক ব্যক্তি ধরেন। কোনও ভাবেই অনির্বাণবাবুর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

পুলিশ সূত্রের খবর, রেবাদেবীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিত্‌সার পর বিধাননগর (উত্তর) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধা। এ ব্যাপারে বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসিপি (উত্তর) দেবাশিস ধর বলেন, “লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” তবে রাত পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারের খবর নেই।

কেন মা-কে মারধরের অভিযোগ উঠল অনির্বাণ বিরুদ্ধে?

রেবাদেবীর বক্তব্য, তাঁর সঙ্গে ছেলের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে। অনির্বাণবাবুর মানসিক কিছু সমস্যা রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “মাস কয়েক আগে সল্টলেকের বাড়ি ছেড়ে রাজারহাটে চলে গিয়েছে আমার ছেলে। এ দিন বিকেলে সে আচমকাই সল্টলেকের বাড়িতে হাজির হয়। তার পর তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে আমাকে মারধর করে।”

রেবাদেবী জানান, ছেলে তালা ভাঙছে দেখেই তিনি পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ পৌঁছনোর আগেই বাড়িতে ঢুকে অনির্বাণবাবু তাঁকে ঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। রেবাদেবীর বক্তব্য, ছেলে তাঁর উপরে হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় আগেই তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তাও চেয়েছিলেন।

নবান্ন সূত্রের খবর, রেবাদেবীর আশঙ্কার কথা মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছেছে। তাঁর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE