Advertisement
০৪ মে ২০২৪

ম্যারেজ রেজিস্ট্রার সেজে ছাত্রীকে উদ্ধার পুলিশের

শুরু হয় ফেসবুকে ছোট্টু পাইকের খোঁজ। সেখানেই মেলে ছোট্টু ওরফে রোহিতের প্রোফাইল। যার বাড়ি ঘুটিয়ারি শরিফে। সঙ্গে সঙ্গে তদন্তকারী অফিসার দল নিয়ে রওনা হন সেখানে। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, তার আধ ঘণ্টা আগেই ছোট্টু বেরিয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৩৫
Share: Save:

ম্যারেজ রেজিস্ট্রার সেজে এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে অপহৃত এক দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে উদ্ধার করে আনল পুলিশ!

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা ওই ছাত্রী। পুলিশ সেই ঘটনায় একটি অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করে আনে ওই কিশোরীকে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকেও।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। সে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।কিন্তু স্কুল শেষ হওয়ার পরেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তার মা বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ওই ছাত্রীর এক বান্ধবীর কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, স্কুল থেকে বেরিয়ে এক যুবকের সঙ্গে দেখা করবে বলে জানিয়েছিল ওই কিশোরী। ওই বান্ধবীর কাছেই মেলে সেই যুবকের মোবাইল নম্বর। কিন্তু সেটি বন্ধ ছিল।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে ওই মোবাইল এক বারের জন্য চালু করেছিল অভিযুক্ত যুবক। তার টাওয়ারের অবস্থান ছিল ক্যানিং থানা এলাকার পিয়ালিতে। মোবাইল টাওয়ারের পাশাপাশি পুলিশ ফেসবুকে ওই যুবকের অ্যাকাউন্ট খুঁজতে শুরু করে। কিন্তু ওই নামে একশোরও বেশি অ্যাকাউন্ট মেলায় পুলিশ তখন ফোন নম্বরের মালিকের খোঁজ শুরু করে। আর তাতেই জানা যায়, অভিযুক্তের মোবাইল নম্বরের মালিক ছোট্টু পাইক, রোহিত
মণ্ডল নয়।

শুরু হয় ফেসবুকে ছোট্টু পাইকের খোঁজ। সেখানেই মেলে ছোট্টু ওরফে রোহিতের প্রোফাইল। যার বাড়ি ঘুটিয়ারি শরিফে। সঙ্গে সঙ্গে তদন্তকারী অফিসার দল নিয়ে রওনা হন সেখানে। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, তার আধ ঘণ্টা আগেই ছোট্টু বেরিয়ে গিয়েছে। সম্ভবত সে বারুইপুরে এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছে। তবে জানা যায়, ছোট্টু একটি মেয়েকে নিয়ে আগের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে এসেছিল।

তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই এলাকাতেই অভিযুক্তের মামা থাকেন। এক চায়ের দোকানে ছোট্টুর ছবি দেখিয়ে শুরু হয় মামার খোঁজ। পুলিশ দেখে পাছে মামা মিথ্যে বলেন, এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে তদন্তকারী অফিসার নিজেকে ম্যারেজ রেজিস্ট্রার বলে পরিচয় দেন। দলের অন্যদের সরিয়ে দেন তিনি।

তদন্তকারী অফিসারের ওই বুদ্ধিতেই কাজ হাসিল হয়। ছোট্টুর মামার খোঁজ পাওয়া যায়। তিনি জানান, বারুইপুরের মাঝেরপাড়ায় এক মাসির বাড়িতে গিয়েছে ছোট্টু এবং তার পরিবার। সেখান থেকেই বুধবার বিকেলে বাঁশদ্রোণীর ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ছোট্টু পাইককে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police Student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE