সেই পুকুর। নিজস্ব চিত্র
পুকুরের মালিকানা কার তা নিয়েই ধন্দ। তার জেরে নিয়মিত পরিষ্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
নন্দন এবং সেন্ট পল্স ক্যাথিড্রালের মাঝে থাকা পুকুরটিতে থার্মোকলের প্লেট, গ্লাস, প্লাস্টিকের বোতল-সহ একাধিক বর্জ্য পড়ে রয়েছে। কাছেই রয়েছে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস এবং কলকাতা তথ্য কেন্দ্র লাগোয়া ক্যান্টিন। ওই পুকুরের পার দিয়ে গিয়েছে বাংলা আকাদেমি থেকে নাট্য আকাদেমির দিকে যেতে একটি বাঁধানো রাস্তা। নন্দন চত্বরে আসা যুবক-যুবতীদের অনেককেই সেই রেলিং বাঁধানো পথে ঘুরতে দেখা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠান্ডা পানীয়ের গ্লাস, প্লাস্টিকের বোতল, খাবারের প্যাকেট নিয়ে পুকুর পারে বসে খাওয়াদাওয়া সারেন। সে সব খালি হলে তাঁদের বেশির ভাগই ফেলে দেন ওই পুকুরে। রেস্তরাঁ এবং ক্যান্টিনের নোংরা জলও ওই পুকুরে গিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। যদিও ওই ক্যান্টিন এবং খাবারের দোকানের মালিকদের দাবি, স্টলের কাছের ভ্যাটে সকলকে ময়লা ফেলতে বলেন তাঁরা। তবে তা নজর রাখা সম্ভব হয় না তাঁদের।
কলকাতা পুরসভা নাকি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ), কার অধীনে ওই পুকুর তা-ই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, কেএমডিএ-র অনুরোধে বছর খানেক আগে পুকুরটি কলকাতা পুরসভা পরিষ্কার করে দিয়েছে। নন্দন চত্বরের দেখভাল করে পূর্ত দফতর। সেখানে জলাশয় এবং সংলগ্ন পরিসর নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু ওই পুকুরটি নন্দন চত্বরের বাইরে থাকায় তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের আগ্রহ কম বলে অভিযোগ। নন্দন চত্বরে কর্মরত সরকারি আধিকারিকদের একাংশের দাবি, ‘‘ওই জলশয় বাঁচিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আশপাশে আগুন লাগলে জলের বড় উৎস ওই পুকুরই। যেহেতু অনেকে ওই চত্বরে বেড়াতে যান, তাই এর সৌন্দর্যায়নও করা জরুরি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কেএমডি-র এক আধিকারিক বলেন। ‘‘পুকুরটি কাদের তা নিয়ে সংশয় আছে। ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’ কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, পুকুরটি পুরসভাকে হস্তান্তর করার কথা বলা হয়েছিল তৎকালীন কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কেআইটি) বা বর্তমান কেএমডিএ-কে। সে কাজও এগোয়নি। ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘তবে কেএমডিএ-র অনুরোধে বছর খানেক আগে পুকুর পরিষ্কার করা হয়েছিল। আবার বললে তা করে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy