কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আর কাজে আসবেন না বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ এবং সুপার। — ফাইল ছবি।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আর আসবেন না অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। তাঁর দাবি, ওই হাসপাতালে কাজের পরিস্থিতি নেই, তাই এই সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্য ভবনে বসেই কাজ করবেন তিনি। ক্যাম্পাস দেখার দায়িত্ব তিনি দিয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধানকে। অধ্যক্ষের পাশাপাশি হাসপাতালে আসবেন না বলে জানিয়েছেন সুপার অঞ্জন চৌধুরীও। তিনিও স্বাস্থ্যভবন থেকেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সুপারের হাসপাতালে না আসায় বিপাকে পড়তে পারেন রোগীরা। রোজের কিছু কাজ সুপারের অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন হাসপাতালকর্মীদের একাংশ। কোর্টের নির্দেশ, চিকিৎসা সংক্রান্ত ফাইলে সুপারের সই প্রয়োজন। এ বার তাঁর সইয়ের জন্য সেই ফাইল পাঠাতে হবে স্বাস্থ্যভবনে। সেই ফাইল সই হয়ে এলেই কাজ করা যাবে। এর ফলে রোগীরা বিপাকে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গত ৯ দিন ধরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশনে বসেছেন পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার তাঁদের সমর্থনে প্রতীকী অনশনে বসেছিলেন অভিভাবকেরাও। এক দিকে নিজেদের দাবিতে পড়ুয়ারা অনড়। অন্য দিকে, স্বাস্থ্যভবনের তরফেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, আগে অনশন তুলতে হবে। তার পরেই চলবে আলোচনা।
বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। তার পরেও মেলেনি রফাসূত্র। ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘ছাত্রদের দাবি নিয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। সমস্ত কিছু কলেজ কাউন্সিলের হাতে নেই। সিদ্ধান্ত উপরমহল থেকে আসবে। আশা রাখছি, সুরাহা হবে।’’ তিনি এ-ও জানিয়ে দেন যে, নির্বাচন হবে না, এ কথা কখনওই বলা হয়নি। তবে অনশন তুললেই সেই নিয়ে কথা হবে। ২২ ডিসেম্বরের পরিবর্তে কবে নির্বাচন হবে, সেই দিন জানানো হবে। ওই দাবি মানেননি পড়ুয়ারা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগে অনশন তুলতে হবে।
গত সোমবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও এসে অনশনরত পড়ুয়াদের দেখা করেছিলেন। অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। তাতে বরফ গলেনি। অনেক প্রবীণ চিকিৎসকরা মনে করছেন, পড়ুয়া এবং প্রশাসন নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে অনশন আরও দীর্ঘ হবে। অনেকেই আবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এর মধ্যেই মেডিক্যাল কলেজে আসা বন্ধ করার কতা জানালেন অধ্যক্ষ এবং সুপার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy