Advertisement
E-Paper

জলাভূমি সংস্কারে হাত ১৫ বছর পরে

দেড় দশক পরে রাজারহাটে পুকুর ও জলাভূমির সমীক্ষা শুরু হচ্ছে। পনেরো বছর আগে বামফ্রন্টের শাসনকালে মৎস্য দফতর শেষ বার রাজারহাট এলাকায় পুকুর তথা জলাভূমির গণনার কাজ করেছিল। এ বার সেই কাজ করছে বিধাননগর পুর নিগম।

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৪২

দেড় দশক পরে রাজারহাটে পুকুর ও জলাভূমির সমীক্ষা শুরু হচ্ছে। পনেরো বছর আগে বামফ্রন্টের শাসনকালে মৎস্য দফতর শেষ বার রাজারহাট এলাকায় পুকুর তথা জলাভূমির গণনার কাজ করেছিল। এ বার সেই কাজ করছে বিধাননগর পুর নিগম।

পুরকর্তাদের বক্তব্য, রাজারহাট এলাকা থেকে পুকুর কিংবা জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ আসছে মাঝেমধ্যেই। পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ রহিমা বিবি বলেন, ‘‘সম্প্রতি ভরাট হয়ে যাওয়া দু’-তিনটি পুকুর পুনরায় খনন করে সেগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক সময়ে পুকুর সংস্কারের অভাবে মজে যায়। তার উপরে ধীরে ধীরে মাটি আর জঞ্জাল ফেলে ভরাট করে দেওয়া হয়। তাই এ বার পুকুর ও জলাভূমির সমীক্ষা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’

পুরসভা সূত্রের খবর— সমীক্ষা করে যে পুকুর বা জলাশয় পাওয়া যাবে, সেগুলি নতুন করে কেটে সংস্কারের কাজ হবে। ব্যক্তিগত মালিকানার পুকুরকেও ওই সমীক্ষার আওতায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ রহিমা বিবি। তিনি জানান— পরিবেশ দফতরকে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল তাতে ৭০-৮০টির বেশি পুকুর ওই এলাকায় থাকার কথা। তিনি বলেন, ‘‘পুরনো রেকর্ড দেখেই সমীক্ষা করা হবে।’’

২০১৪ সালে পরিবেশ দফতর থেকে পুকুর সংস্কারের জন্য তৎকালীন বিধাননগর পুরসভাকে অনুদান
দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে সমীক্ষা করে সল্টলেকের সংযুক্ত এলাকায় ২৬টি পুকুরের হদিস পাওয়া যায়
বলে জানিয়েছেন বিধাননগর পুর নিগমের আর এক মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা।

এক বছর হল রাজারহাট-গোপালপুর এবং বিধাননগর— দুই পুরসভা মিলিয়ে বিধাননগর পুর নিগম তৈরি হয়েছে। পুরকর্তারা জানান, দেড় দশক আগে মৎস্য দফতর রাজারহাট এলাকায় সমীক্ষা করে ১৬০টির মতো পুকুর রয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছিল। সেই সময়ে পুকুরের সমীক্ষার জন্য রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিয়েছিল তারা। কিন্তু ওই সব পুকুর বা জলাশয়ের অধিকাংশ এখন আর নেই বলেই মনে করছে পুর নিগম।

এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘আইনের ফাঁককে কাজে লাগিয়ে জলাজমিকে বাস্তুতে পরিণত করে ভরাট করে ফেলা হয়েছে অনেক জায়গায়। যদিও আইন অনুযায়ী ছ’মাস যদি জল কোথাও জমে থাকে, তবে সেই জায়গা কোনও ভাবেই ভরাট করা যাবে না।’’

Renovation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy