এমনই দশা রাস্তার। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।
রাস্তা সারানোর জন্য বার বার আবেদন জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই বাসিন্দারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে, অর্থ সংগ্রহ করে রাস্তায় রাবিশ ফেলে তা যাতায়াতের উপযোগী করলেন। ঘটনাস্থল বাঘাযতীন পার্ক এলাকা। তবে নিত্য যাতায়াতের এই সাময়িক ব্যবস্থা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, কয়েক পশলা বৃষ্টিতে রাবিশ উঠে গিয়ে ফের কাদায় ভরে যাবে রাস্তা। অভিযোগ, বছরের পরে বছর এলাকার মূল রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বার বার পুরপ্রতিনিধিকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
এলাকার বাসিন্দা দীপক রায় বলেন, ‘‘পুর প্রতিনিধি থেকে বরো অফিস— বহু বার রাস্তাটি সারাইয়ের জন্য আবেদন জানিয়েছি। অথচ আজ পর্যন্ত রাস্তাটি সারানো হল না।’’
গত এক দশকে বাঘাযতীন পার্ক এলাকায় জনবসতি বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু রাস্তার উন্নয়নের কাজ শেষ কবে হয়েছে তা মনে করতে পারছেন না বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করাটাই এখানে দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফি-বছর বর্ষায় রাস্তার হাল এমন হয় যে যাতায়াত করাই দায় হয়ে দাঁড়ায়।
১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এই ওয়ার্ডে গত ত্রিশ বছরে রাস্তার উন্নয়নের কোনও কাজ হয়নি। তিনি স্বীকার করেন, শুধু বাঘাযতীন পার্ক নয় তাঁর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকার রাস্তা দিনের পরে দিন বেহাল হয়ে রয়েছে। অনন্যাদেবীর বক্তব্য, ‘‘ওয়ার্ডের খারাপ রাস্তাগুলির তালিকা পুরসভার সড়ক বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। গুরুত্ব অনুযায়ী ওয়ার্ডের সব ক’টি রাস্তা সারানোর কাজই শুরু হবে।’’ উল্লেখ্য ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড এত দিন সিপিএমের দখলে ছিল। এ বারই ওই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হিসেবে তৃণমূলের অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচিত হন।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল বাঘা যতীন পার্কের রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গাই ভাঙাচোরা এবং উঁচু-নিচু হয়ে আছে। অনেক জায়াগায় রাবিশের আস্তরণ উঠে গিয়ে মাটি বেরিয়ে এসেছে। বাসিন্দারা জানান, রাস্তার দু’পাশে জল নিকাশির কোনও ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। বর্ষার সময়ে রোজই জল মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। জল শুকোনোর জন্য ভরসা করতে হয় রোদ্দুরের উপরে। অভিযোগ, সমস্যার কথা বার বার জানিয়েও পুরসভার তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (সড়ক) রতন দে বলেন, ‘‘ওই ওয়ার্ডের নতুন কাউন্সিলর খারাপ রাস্তার তালিকা আমায় দিয়েছেন। আমি নিজেও ওয়ার্ড ঘুরে রাস্তাগুলির হাল দেখেছি। ওই ওয়ার্ডের সব রাস্তা আমরা সারানোর ব্যবস্থা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy