জোরকদমে: এক দিকে চলছে রাস্তা সারাই, অন্য দিকে মেট্রোর স্তম্ভ সেজেছে নানা রঙে। ছবি: শৌভিক দে
অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের জন্য এক দফা সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছিল। এ বার কলকাতা বইমেলাকে কেন্দ্র করে বিধাননগর পুরসভা নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে সল্টলেককে। এই সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পকে স্বাগত জানালেও বাসিন্দাদের দাবি, শুধু বড় অনুষ্ঠানের জন্যই নয়, বছরভর যেন এই সৌন্দর্যায়ন রক্ষা করা হয়। পুরো সল্টলেকই এ ভাবে সাজিয়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে বইমেলার পার্কিং এলাকা তৈরির কাজ। তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে সৌন্দর্যায়নের কাজও। সেন্ট্রাল পার্কের চারপাশের রাস্তায় নানা ধরনের বাহারি আলো লাগানোর পাশাপাশি মেট্রোর স্তম্ভগুলিকে বিভিন্ন ভাবনায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ফুটপাথে বসেছে রঙিন পেভার ব্লক এবং বাহারি রেলিং। মেলার গেটগুলির কাছে বিশেষ আলো এবং বুলেভার্ডে গাছ বসিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে গোটা এলাকা। শুধু মেলা এলাকার আশপাশই নয়, সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে সল্টলেকের প্রবেশ পথ জে কে সাহা সেতু থেকে সিটি সেন্টার বাস স্টপ পর্যন্ত অংশ। এর আগে বেলেঘাটা-বাইপাস মোড় থেকে বনবিতান পর্যন্ত এলাকা সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি সল্টলেকের গোলকধাঁধায় পথ খুঁজে পেতে বিভিন্ন মোড়ে বসানো হয়েছে নির্দেশিকা। শুধু মেলা প্রাঙ্গণই নয়, পার্কিং-এর জায়গা খুঁজে পেতেও সমস্যা হবে না বলে দাবি পুরসভার।
পুরকর্তাদের একাংশের কথায়, লক্ষ লক্ষ বইপ্রেমী বইমেলায় হাজির হবেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিধাননগরের গৌরবকেও তুলে ধরা হবে। পুরসভার চেষ্টা, বইমেলা থেকে ফেরার সময়ে শুধুমাত্র বই কিংবা মেলার আনন্দই নয়, একটি সুন্দর সাজানো-গোছানো শহরের ছবি সঙ্গে নিয়েই ফিরুন বইপ্রেমীরা।
তবে সল্টলেকবাসীদের একাংশের কথায়, আগে নানা রকমের গাছগাছালিতে ভরে থাকত সল্টলেক। পরে উন্নয়ন করতে গিয়ে কাটা পড়েছে অসংখ্য গাছ। সল্টলেকের সেই সাবেক ছবিটাও বদলেছে। সেটা হয়তো ফিরবে না। কিন্তু নতুন করে সাজানোর প্রয়োজন ছিল। সল্টলেকের বাসিন্দা নীলেন্দু রায় বলেন, ‘‘আগে শুধু বিধাননগর মেলা হত, পরে মেলার সংখ্যা বেড়েছে। মেলা উপলক্ষে করুণাময়ী চত্বর সেজে উঠত। কিন্তু মেলা শেষ হয়ে গেলে যে কে সেই। পুরসভা যেন বছরভর এই সৌন্দর্যায়ন রক্ষা করে।’’
বিধাননগরের মেয়র তথা রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘পুরসভা অনেক আগেই এই সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প নিয়েছিল। তবে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ এবং কলকাতা বইমেলাকে ঘিরে সেই প্রকল্পের গতি আরও বাড়বে। যে কোনও মূল্যে সারা বছর এই সৌন্দর্যায়নকে রক্ষা করবে পুরসভা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy