—ফাইল চিত্র।
গেটে বসেছিল ‘অটোম্যাটিক নাম্বার প্লেট রেকগনিশন’ যন্ত্র। কিন্তু সেটি গাড়ি ঢুকলে নম্বর পড়তে পারছিল না। ঘটনা নবান্নের। তার ফলে কত গাড়ি নবান্নে এসেছে বা বেরিয়ে গিয়েছে, তার যথাযথ হিসেব রাখা যাচ্ছিল না। যন্ত্রের গলদ ধরা পড়তেই হইহই পড়ে যায় নবান্নের নিরাপত্তা মহলে। তড়িঘড়ি ভিআইপি গেট ও নর্থ গেটে সেই মেশিন সারাতে নেমে পড়েছে পুলিশ বাহিনী।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই ধরনের পাঁচটি মেশিন নবান্নের নিরাপত্তার জন্য আনা হয়েছিল। যে পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে যাতায়াত করেন সেই পথের যন্ত্রও কাজ করছিল না। নড়েচড়ে বসেন নবান্নের নিরাপত্তা আধিকারিকেরা। নবান্ন সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাঁচটি যন্ত্রই ঠিক মতো কাজ করছিল না।
এক আধিকারিক জানান, দু’টি যন্ত্র শুক্রবারই সারানো হয়েছে। বাকি তিনটি সারানো হবে আজ, প্রজাতন্ত্র দিবসে। যদিও নবান্নের পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘মেশিনে গোলমাল হলেও সমস্যা নেই। কারণ প্রতিটি গেটেই গাড়ির নম্বর হাতে লিখে রাখার নিয়মও রয়েছে। ফলে ইলেকট্রনিক রেকর্ডে গোলমাল হলেও অসুবিধা হবে না।’’
নবান্নের ভিআইপি গেট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, অন্য মন্ত্রী-আমলা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গাড়ি নিয়ে ঢোকেন। নর্থ গেট দিয়ে অন্যান্য সরকারি আধিকারিকেরা গাড়ি নিয়ে আসেন। প্রতিটি গাড়িতেই সরকারি স্টিকার লাগানো রয়েছে। পুলিশ সেই স্টিকার দেখেই গাড়ি ভিতরে ঢুকতে দেয়।
২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণ ছেড়ে নবান্নে সচিবালয় সরিয়ে নিয়ে যান।
সেই থেকে ধাপে ধাপে নবান্ন চারপাশে এবং ভিতরে বহু ক্লোজড
সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পূর্ত দফতর এবং পুলিশের হিসেব মতো, নবান্নের প্রতিটি তলায় ৮ থেকে ১০টি করে ক্যামেরা বসানো রয়েছে। এ ছাড়াও নবান্নের বাইরে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ক্যামেরা বসানো রয়েছে।
এক পুলিশ কর্তা বলেন, নবান্নের ভিতরের ক্যামেরা গুলির নজরদারি করা হয় নবান্নের একতলায় কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে। নবান্নের বাইরের ক্যামেরা গুলি দেখভাল করে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy