পরপর এসএমএসের শব্দে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল আইনজীবী সৌমি গুহঠাকুরতার। এসএমএস খুলে তিনি দেখেন, তাঁর ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। অথচ সেই কার্ড তখনও তাঁর ব্যাগে! একই অভিজ্ঞতা গরফার কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের। শনিবার মাঝরাতে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকেও কয়েক হাজার টাকা হাতায় জালিয়াতেরা।
পুলিশ জানায়, সৌমিদেবী, কৌশিকবাবুর মতো আরও কয়েক জনের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই রাতেই দফায় দফায় কয়েক হাজার টাকা তোলা হয়েছে। প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক। গত ডিসেম্বরে মধ্যমগ্রামে ওই ব্যাঙ্কেরই বহু গ্রাহকের টাকা একই কায়দায় তুলে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশের সন্দেহ, দু’টি ঘটনার মধ্যে মিল থাকতে পারে।
কী ভাবে এই জালিয়াতি হল? পুলিশের সন্দেহ, এ ক্ষেত্রে কার্ডের তথ্য চুরি করে (স্কিমিং) প্রতিলিপি করার পদ্ধতি (ক্লোনিং) ব্যবহৃত হয়েছে। এই কায়দায় কার্ডের সোয়াইপ মেশিনের সঙ্গে একটি যন্ত্র জুড়ে দেওয়া হয়। কার্ড সোয়াইপ করলেই সব তথ্য ‘কপি’ হয়ে যায়। সেই তথ্য সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয় ব্ল্যাঙ্ক কার্ডে। সেই কার্ড ব্যবহার করে টাকা হাতায় জালিয়াতেরা। ২০১০-এ ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির তদন্তে নেমে এমনই এক চক্রের খোঁজ পান গোয়েন্দারা। কিন্তু এমন কায়দায় ডেবিট কার্ড জালিয়াতি আগে ঘটেনি বলেই দাবি করছেন পুলিশকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy