প্রতীকী চিত্র।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ খানিকটা কমলেও ফের তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ফলে কবে স্কুল খুলবে, নিশ্চিত নন কেউই। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস কমানোর দাবি জানাল কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন। এই দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে চিঠিও দিয়েছে ‘স্কুল অব হেডমিস্ট্রেসেস অ্যান্ড হেডমাস্টার্স’ নামে একটি শিক্ষক সংগঠন।
শিক্ষকদের একাংশের মতে, শহরের দিকে কিছু স্কুলে অনলাইন ক্লাস নিয়মিত হলেও গ্রামাঞ্চলে বহু জায়গায় দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগের কারণে এবং সকলের স্মার্টফোন না থাকায় অনলাইন ক্লাস হয়েছে অনিয়মিত। তাই পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত সিলেবাস কমানো হোক। ‘স্কুল অব হেডমিস্ট্রেসেস অ্যান্ড হেডমাস্টার্স’-এর সম্পাদক অরুণ ভট্টাচার্যের মতে, “যারা ২০২২ সালে মাধ্যমিক দেবে, তারা শেষ পরীক্ষা দিয়েছে ২০১৯ সালে। সেটা ছিল তাদের অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। তাই তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন যেমন দরকার, তেমনই করোনা পরিস্থিতিতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটার কথা মাথায় রেখে সিলেবাসও কমানো প্রয়োজন।”
আগামী বছরে যারা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দেবে, সেই পরীক্ষার্থীদের এক জনের কথায়, “সিআইএসসিই বোর্ড কিন্তু দশম ও দ্বাদশের বোর্ডের পরীক্ষার সিলেবাস এখন থেকেই কমাতে শুরু করেছে। আমাদেরও সংক্ষেপিত সিলেবাস আগে জানিয়ে দেওয়া হলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়।’’
‘পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির’ সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, “শুধু দশম ও দ্বাদশেরই নয়, পঞ্চম থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির সিলেবাসও কমানো দরকার। কারণ, করোনা-কালে ওই ক্লাসগুলিতেও পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমরা চাই, পরিকল্পিত ভাবে সিলেবাস কমানো হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy