পোস্তার উড়ালপুল-বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক তৈরির কাজে সাবধানে এগোচ্ছে কেএমডিএ। ওই প্রকল্পে কোনও রকম তাড়াহুড়ো করতে চায় না তারা। তাই নির্মাণকাজের নকশা থেকে সমস্ত সরঞ্জাম প্রথমে পরীক্ষা করছেন শিবপুরের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র (আইআইইএসটি) বিশেষজ্ঞেরা। তার পরে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা ‘রাইটস’-এর হাইওয়ে ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে পরীক্ষা করানোর পরেই ছাড়পত্র দিচ্ছে কেএমডিএ। সুরক্ষার উপরে এতটা জোর দেওয়া হচ্ছে বলেই বারবার উদ্বোধনের তারিখ পাল্টাতে হচ্ছে বলে দাবি কেএমডিএ-র। তবে সম্প্রতি এক বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে, মার্চের প্রথম দিনই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হবে। তার আগে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে নীচের রাস্তা তৈরির কাজ।
কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কাইওয়াকে ওঠানামা করার জন্য ১১টি এসক্যালেটর এবং চারটি লিফ্ট তৈরি করা হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে মন্দিরের সিংহদুয়ার পর্যন্ত স্কাইওয়াক ধরে যাওয়া যাবে। দেশের মধ্যে এমন স্কাইওয়াক এটাই প্রথম বলে দাবি করেছে কেএমডিএ।
২০১৫ সালের মার্চ মাসে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয়। কথা ছিল, দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এ বছর কালীপুজোর আগেই স্কাইওয়াক চালু হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি।