Advertisement
E-Paper

পারিষদ তালিকায় পাল্লা ভারী ব্রাত্যর

দক্ষিণ দমদমে পুরবোর্ড গঠন করা নিয়ে ‘বসু পরিবার’-এর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলই। দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পূর্ণেন্দু বসু ও বিধায়ক সুজিত বসু— তিন হেভিওয়েট নেতাদের ঘনিষ্ঠ ক’জন ওই পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ হবেন, তা নিয়েই চলছিল দড়ি টানাটানি। শেষমেশ রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান পারিষদের নামের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৫ ০০:৩১

দক্ষিণ দমদমে পুরবোর্ড গঠন করা নিয়ে ‘বসু পরিবার’-এর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলই। দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পূর্ণেন্দু বসু ও বিধায়ক সুজিত বসু— তিন হেভিওয়েট নেতাদের ঘনিষ্ঠ ক’জন ওই পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ হবেন, তা নিয়েই চলছিল দড়ি টানাটানি। শেষমেশ রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান পারিষদের নামের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে।

জেলার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পারিষদদের তালিকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘দক্ষিণ দমদমের নতুন পারিষদদের নাম ঠিক হয়ে গিয়েছে। সেই তালিকায় রাজ্য নেতৃত্বের শুধু সই বাকি।’’ একই কথা বলেন ব্রাত্য বসু ও সুজিত বসুও। তবে বেসুরো গেয়েছেন একমাত্র পূর্ণেন্দু বসু। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার সরকারি ভাবে চেয়ারম্যান পারিষদদের নাম জানানো হবে।’’

দলীয় সূত্রে খবর, নতুন পাঁচ জন চেয়ারম্যান পারিষদ হিসেবে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, গোপা পাণ্ডে, বাপি মিত্র, প্রদীপ মজুমদার ও সমীর (কালু) চট্টোপাধ্যায়ের নাম প্রায় চূড়ান্ত। দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর হস্তক্ষেপে ওই নামগুলি ঠিক হয় বলে খবর। এঁদের মধ্যে একমাত্র সমীরবাবু (কালু) ছাড়া সকলেই ব্রাত্যবাবুর বিধানসভা কেন্দ্র দমদমের কাউন্সিলর। ব্রাত্যবাবুর প্রস্তাব মতোই তাঁদের নাম মেনে নিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। শুধু প্রদীপ মজুমদার বোর্ডে এসেছেন ধনঞ্জয় মজুমদারের জায়গায়। ধনঞ্জয়বাবুর নামও ব্রাত্যবাবু জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। সমীরবাবু ছিলেন সুজিতবাবুর পছন্দ। উল্লেখ্য, সমীরবাবু ও প্রদীপবাবু দু’জনেই শেষ পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান পারিষদ ছিলেন।

উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানান, তিন বিধায়কের পছন্দের মধ্যে ভারসাম্য আনতে গিয়ে পুরনো বোর্ডের দুই চেয়ারম্যান পারিষদ তথা কাউন্সিলর প্রবীর (কেটি) পাল ও মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যকে বাদ দিতে হয়েছে। দমদম বিধানসভার কাউন্সিলর হওয়া সত্ত্বেও মৃগাঙ্কবাবুর নাম প্রস্তাব
করতে হয়েছিল পূর্ণেন্দুবাবুকে। কারণ, দমদমের বিধায়ক সুজিতবাবুর সঙ্গে মৃগাঙ্কবাবুর ‘অম্লমধুর’ সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। উল্লেখ্য, সুজিতবাবু ওই পুরবোর্ডে ভাইস-চেয়ারম্যান হচ্ছেন।

এ দিকে, মৃগাঙ্কবাবুর নাম পূর্ণেন্দুবাবু প্রস্তাব করায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কাউন্সিলরদের মধ্যেও। তাঁদের অভিযোগ, বিধায়ক যদি নিজের এলাকার কাউন্সিলরের জন্য লড়তেন, তবে চেয়ারম্যান ছাড়াও তাঁদের দিকে এক জন চেয়ারম্যান পারিষদ পাওয়া যেত। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘আমি কারও নাম প্রস্তাব করিনি। আপনার থেকেই শুনলাম। দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’’

এ পর্যন্ত যা খবর, তাতে শেষ হাসি হাসছেন দমদমের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুই। তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘আমার খুশি বা অখুশি হওয়ার কিছু নেই। দল ভেবেচিন্তেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং সেটাই চূড়ান্ত।’’

South Dum Dum Chairman KMC Bratya basu Trinamool BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy