—প্রতীকী চিত্র।
হলুদ রঙের সেই পোস্ট কার্ডে কি এখন আর কেউ চিঠি লেখেন? কিংবা নীল রঙের ইনল্যান্ড লেটারে? চিঠি লিখতে চাইলেও অবশ্য উপায় নেই। কারণ, অনেকেরই অভিযোগ, অধিকাংশ ডাকঘরেই আর ইনল্যান্ড বা পোস্ট কার্ড পাওয়া যায় না। তা হলে কি আজকের প্রজন্ম জানবেই না, ইনল্যান্ড বা পোস্ট কার্ড কেমন দেখতে ছিল? এই চিন্তা থেকেই ইনল্যান্ড এবং পোস্ট কার্ড যাতে প্রতিটি ডাকঘরে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাওয়া যায়, সেই দাবি তুলল শতাব্দীপ্রাচীন উল্টোডাঙা লাইব্রেরি। তাদের আয়োজনে লিটল ম্যাগাজ়িন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ বার ‘পোস্ট কার্ড বাঁচাও’ শীর্ষক গণস্বাক্ষর অভিযানও শুরু হয়েছে।
উল্টোডাঙা লাইব্রেরির প্রাঙ্গণে বড় একটি ডাকবাক্স তৈরি করা হয়েছে। ওই গ্রন্থাগারের সদস্য মিন্টু কুণ্ডু বললেন, “আজকাল রাস্তাঘাটে যে সব ডাকবাক্স দেখা যায়, সেগুলির জরাজীর্ণ দশা। ডাকবাক্সগুলি একটু সযত্নে রাখলে পুরনো কলকাতার একটা স্পর্শ পাওয়া যেত।” পোস্ট কার্ড বাঁচাতে গণস্বাক্ষর বড়রা দিলেও কয়েক জন স্কুলপড়ুয়াও সেখানে উপস্থিত ছিল। দূরের ঠিকানায় চিঠি লিখলে তা পৌঁছতে এক সপ্তাহ বা তার বেশি লেগে যেত শুনে পড়ুয়ারা অবাক।
পোস্ট কার্ড নিয়ে এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের কয়েক জন আধিকারিকও। এই উদ্যোগকে তাঁরা স্বাগত জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy