Advertisement
E-Paper

সোয়াইন ফ্লু-এর চিকিৎসায় দেরি

চট করে রোগ ধরা পড়ছে না। উপসর্গ আর পাঁচটা ভাইরাসঘটিত জ্বরের মতোই। ফলে চিকিৎসা শুরু করতেই বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। দাপটও বেড়ে যাচ্ছে রোগের। সংক্রমণও ছড়াচ্ছে দ্রুত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০১:০৪

চট করে রোগ ধরা পড়ছে না। উপসর্গ আর পাঁচটা ভাইরাসঘটিত জ্বরের মতোই। ফলে চিকিৎসা শুরু করতেই বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। দাপটও বেড়ে যাচ্ছে রোগের। সংক্রমণও ছড়াচ্ছে দ্রুত। কলকাতায় লাফিয়ে বাড়ছে সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্তের সংখ্যা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৩০ জন। এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা শ’খানেক। ইতিমধ্যেই একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চার জনের সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য দফতর মনে করছে, রোগের প্রকোপ বিপদসীমা পার করেনি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীও বলেন, ‘‘সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যুর খবর স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। তবে এখনই এত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’’

যদিও চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ভ্যাপসা গরমে একাধিক জীবাণুঘটিত রোগের দাপট বেড়েছে। সোয়াইন ফ্লু-ও এক ধরনের ভাইরাসঘটিত রোগ। বিপদ এড়াতে তাই বাড়তি সতর্ক থাকা ভাল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্তেরা প্রাথমিক পর্যায়ে বুঝতে পারছেন না রোগটা ঠিক কী। হাঁচি-কাশি অথবা জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া সমস্যা আরও বাড়াচ্ছে।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সোয়াইন ফ্লু-র নমুনা পরীক্ষা করা যথেষ্ট ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে গেলে জীবাণুর দাপট আরও বেড়ে যাচ্ছে। যা রোগীর পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, ‘‘শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ যথেষ্ট জোরালো। পরিবারের কারও সর্দি-কাশি বা জ্বর হলে তাঁদের থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখাই ভাল।’’

Swine flu Kolkata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy