প্রতীকী ছবি।
একই দিনে শহরে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। দু’টি ক্ষেত্রেই চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এবং পণ্ডিতিয়া রোডের ক্রসিংয়ের দুর্ঘটনার পরে চালক জানান, ব্রেক কষলেও বাসটি সময়মতো দাঁড়ায়নি। এর ফলে উঠছে সেই প্রশ্ন, তবে কি বাসের চাকায় তাপ্পি মারা ছিল?
সোমবার দুপুরে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এবং পণ্ডিতিয়া রোডের মোড় পার হচ্ছিলেন দিলীপ রায় (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ। বেপরোয়া গতিতে বারাসত-বি গার্ডেন রুটের একটি বাস সেই সময়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম বৃদ্ধকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকেই বাস-সহ চালককে আটক করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসটি দ্রুত গতিতে ছিল। পিছনের বাসের সঙ্গে রেষারেষি চলছিল বলেও অভিযোগ। চালকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারের পরেই চালক জানায়, ব্রেক কষলেও তা সময়ে থামেনি। এর পরেই বাসটি পরীক্ষা করে পুলিশ দেখে, দিনের পর দিন চলায় টায়ার ক্ষয় হয়ে যায়। ওই জায়গায় অন্য টায়ারের অংশ লাগিয়ে ‘রি-সোলিং’ করানো হয়েছে। এর জেরেই বাসের ব্রেক কাজ করেনি।
অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে ওই দুপুরেই পার্ক সার্কাসে। ঘটকপুকুর-বাবুঘাটগামী বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে তপসিয়া রোডের বাসিন্দা এক যুবক আহত হন। এ ক্ষেত্রে বাসের বেপরোয়া গতি নিয়ে অভিযোগ উঠলেও চালক অধরা।
রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের দুর্ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে, শহরের বাসগুলির মেরামতি ও নজরদারি ঠিক মতো করা হয় না কেন? লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘‘নজরদারি চলে। গত সপ্তাহেই লালবাজারে বাসমালিক সংগঠনগুলির একটি বৈঠকে এ ব্যাপারে তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।’’ তাহলে তাপ্পি দেওয়া চাকা পুলিশের নজর এড়ায় কী করে? কারণ ওই বাসের চাকা যে তাপ্পি দেওয়া ছিল, তা পুলিশই মানছে। বাসমালিক সংগঠনের তরফে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘যে রাজ্যে ভাড়া বাড়ে না, সেখানে বাসের রক্ষণাবেক্ষণ হবে কী করে?’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘‘রি-সোল’ টায়ার মানেই অবৈধ নয়। দেখতে হবে টায়ারের ‘গ্রিপিং’ ঠিক আছে কি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy