ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় মাত্র ২৮ জন চালক নিয়ে সপ্তাহে ছ’দিন ১০৬টি করে ট্রেন চালানো হচ্ছে। ফাইল ছবি।
সল্টলেকের করুণাময়ীর সেন্ট্রাল পার্কে এ বারের কলকাতা বইমেলা শুরু হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই দিনগুলিতে যাতায়াতের সুবিধার কথা ভেবে রবিবারেও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু রাখার আর্জি জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে মেলার আয়োজক ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’। কিন্তু, চালকের অপ্রতুলতার মধ্যে কী ভাবে পর পর দু’টি রবিবার (৫ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি) মেট্রো চালানো সম্ভব হবে, তা নিয়ে চিন্তায় কর্তৃপক্ষ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও যাত্রী-স্বার্থে পরিষেবা চালু রাখার পক্ষপাতী তাঁরা।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের খবর, এখন ওই মেট্রোয় মাত্র ২৮ জন চালক নিয়ে সপ্তাহে ছ’দিন ১০৬টি করে ট্রেন চালানো হচ্ছে। শুধু রবিবার পরিষেবা বন্ধ থাকায় ছুটি পান চালকেরা। যদিও ওই দিনও মেট্রোর পরীক্ষামূলক দৌড়ের প্রয়োজনে তাঁদের কয়েক জনকে হাজিরা দিতেই হয়। চালকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এখন ১৫ থেকে ২০ মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন চলায় কিছুটা হলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এই সময়ের ব্যবধান আরও কমানো হলে তা সামাল দেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাঁদের বক্তব্য, নতুন চালক না এলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো মুশকিল।
বইমেলার সময়ে সপ্তাহের কাজের দিনের তুলনায় শুক্র, শনি এবং রবিবারে ভিড় অনেকটাই বাড়ে। ওই তিন দিন বাসের সংখ্যা কার্যত দ্বিগুণ করতে হয় রাজ্য পরিবহণ নিগমকে। রবিবার মেট্রো না চললে পরিবহণ নিগমের উপরে চাপ আরও বাড়বে। মেট্রোকর্তাদের একাংশের মতে, পরিষেবা নিয়ে চাপ থাকলেও বইমেলার মতো ক্ষেত্রে রবিবার মেট্রো না চললে যাত্রীদের একটা বড় অংশ সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই অসুবিধার মধ্যেও পরিষেবা চালু রাখার পথ খুঁজছেন তাঁরা।
সরকারি বাসের পাশাপাশি সল্টলেক-কেন্দ্রিক বিভিন্ন বেসরকারি বাসের পরিষেবাও যাতে মেলার দিনগুলিতে স্বাভাবিক থাকে, তা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বেলতলায় আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কার্যালয়ে বৈঠক করেন আধিকারিকেরা। বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বাস চালানোর প্রশ্নে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে খবর। এ নিয়ে ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর টিটু সাহা বলেন, ‘‘বইমেলার সময়ে আমরা বাসের সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy