শুক্রবার রাতে নিমতলা ঘাটে তখন চাপ কম। জাজেস ঘাটেও একই অবস্থা। যত চাপ বাজেকদমতলা ঘাটে। প্রতিমা ভাসানের এতটা চাপ সামলানো যাবে কি না, তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না কুতুবউদ্দিন শেখ ও আক্রামুল হক। দু’জন মিলে ভাবতে বসেছিলেন নিমতলা থেকে লোক ডেকে আনবেন কি না। এমনিতে গঙ্গার জোয়ার-ভাটা সবই তাঁদের হাতের তালুর মতো চেনা। প্রতিমা জলে পড়লে কী-কী করতে হবে, অধস্তনদের পইপই করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কোথায় কত জন থাকবে, তারও ছক আগে থেকেই কষা রয়েছে।
তবু যত ক্ষণ না সব ঠিকঠাক মিটে যায়, তত ক্ষণ শান্তি পান না কুতুবউদ্দিন-আক্রামুল। কুতুবউদ্দিন বলছেন, ‘‘দিনের শেষে মায়ের কাঠামো ঠিকঠাক উঠল কি না, সেটা তো আমরাই দেখি। ফলে যত ক্ষণ না সব ঠিকঠাক হয়, শান্তি পাই না!’’
কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে গঙ্গায় ভাসানের সময়ে যে ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ করা হয়, সেই সংস্থারই কর্মী কুতুবউদ্দিন-আক্রামুলেরা। গত দশ বছর ধরে তাঁরা এই কাজ করে আসছেন। ওই সংস্থার তরফে হিদাইতুল্লা শেখ বললেন, ‘‘ভাসানে বন্দরের প্রতিনিধি বলতে আমাদের সংস্থাই। ২০০৯ সাল থেকে এই কাজ করে আসছে আমাদের সংস্থা। আর সংস্থার হয়ে ভাসান-পর্ব পুরোটাই সামলান আক্রামুল-কুতুবউদ্দিনই।’’