—প্রতীকী ছবি।
বায়ুদূষণের নিরিখে দিল্লির পরেই স্থান কলকাতার। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার বাজেট বক্তৃতায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমও স্বীকার করলেন, ক্রমশ দূষিত হচ্ছে শহরের বাতাস। কিন্তু এর পরেও পরিবেশ সংরক্ষণে বরাদ্দের ক্ষেত্রে তার কোনও প্রভাব দেখা গেল না।
এমনকী, কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক থেকে শুরু করে শহরের দূষণ নিয়ে সমীক্ষা করা একাধিক সংস্থার রিপোর্টে যেখানে দূষণের কারণ হিসেবে পথের ধুলো, নির্মাণস্থলের ধুলো-সহ একাধিক বিষয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, সেখানেও তা নিয়ন্ত্রণে ২০১৯-’ ২০ সালের বাজেটে একটি কথাও খরচ করা হয়নি। জল সরবরাহ, রাস্তা, বস্তি, বাণিজ্যিক প্রকল্প, জঞ্জাল সাফাই, সাধারণ খাত-সহ মোট ছ’টি খাতে নির্দিষ্ট করে বরাদ্দের উল্লেখ করা হলেও ব্রাত্য থেকে গিয়েছে পরিবেশ ও বায়ুদূষণ প্রসঙ্গটি!
যদিও পুর আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, পরিবেশের কথা আলাদা করে উল্লেখ করা না হলেও ‘গ্রিন হাউস এফেক্ট’, ‘আর্বান ফরেস্ট্রি’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সবুজায়নের মাধ্যমে কী ভাবে শহরে দূষণ কমানো যায়, আনা হয়েছে সেই প্রসঙ্গও। এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘পরিবেশের কথা হয়তো সে ভাবে আলাদা করে উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু বাজেটে তো পরিবেশ সংরক্ষণ কর্মসূচি প্রকল্পে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।’’
কিন্তু পুর প্রশাসনেরই অন্য একটি অংশের বক্তব্য, বিচ্ছিন্ন ভাবে এগুলি উল্লেখ করা হলেও পরিবেশ খাতে আলাদা করে বরাদ্দের উল্লেখ নেই। যে অধ্যায়টি উল্লেখ রয়েছে, তা হল ‘পরিবেশ ও ঐতিহ্য’। সেখানে জলাভূমি ভরাট রোধ, প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ-সহ কয়েকটি চিরাচরিত বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট দফতর কী কাজ করছে, সেটুকু শুধু বলা হয়েছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সবুজায়নের জন্য জায়গা প্রয়োজন। কিন্তু সেই জায়গা যতক্ষণ না পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ শুধু এটা বলে দূষণ কমানো যাবে না। তার থেকে ধুলো কমানোর জন্য নির্দিষ্ট রূপরেখার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তার কোনও উল্লেখ করা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy