পুলিশের ‘সাজানো ঘটনা’ ফাঁস হয়ে গিয়েছিল আগেই। আলিপুর-কাণ্ডে আসলে কী ঘটেছিল, ধামাচাপা দিতে ভুল লোককে গ্রেফতার করে আদালতে ভর্ৎসিত হয়েছিল পুলিশ। এ বার বাহিনীর নিচুতলার চাপে পড়ে মুখরক্ষার চেষ্টা শুরু হয়ে গেল।
আলিপুর থানায় হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে যোগেশ বোরা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সরকারি গাড়ি চালায়। পুলিশ জানাচ্ছে, হামলার সময়ে ঘুষি মেরে যোগেশ আলিপুর থানার জানলার কাচ ভাঙছে বলে থানার সিসি টিভি-র ফুটেজে দেখা গিয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে যেখানে গোলমালের সূত্রপাত, আলিপুরের সেই বিধানচন্দ্র কলোনিরই বাসিন্দা যোগেশ। স্থানীয় সূত্রের খবর, মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের ঘনিষ্ঠ দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল নেতা তথা বিধানচন্দ্র কলোনির সভাপতি প্রতাপ সাহার ‘কাছের লোক’ এই যোগেশ।
প্রতাপ সাহা কিংবা তাঁর ডান হাত মনোজকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। ধরতে পারেনি থানায় হামলা চালানো আইনজীবীর পোশাক পরা তৃণমূলের এক নেত্রীকেও। তবে আলিপুর থানার নিচুতলা বলছে, যোগেশকে গ্রেফতার করায় হামলার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ পরিষ্কার হয়ে গেল। কিন্তু প্রতাপ সাহা এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? পুলিশের দাবি, হামলার সময়ে প্রতাপ থানায় ছিলেন না। সিসি টিভি ফুটেজে তাঁকে দেখা যায়নি। অন্য কেউই নিজেদের বাড়িতে থাকছেন না। সিসি টিভি-র ফুটেজে উপস্থিত আইনজীবীর পোশাক পরা এক মহিলা ও দশাসই যুবকের ফোন কিন্তু এখনও খোলা রয়েছে। আজ, শুক্রবার ধৃত যোগেশকে আদালতে পেশ করার কথা। পুলিশ জানাচ্ছে, সেই সঙ্গে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত ১৪-১৫ জনের কথা আদালতে জানানো হবে। সিসি টিভি-র ফুটেজ ঘেঁটে চিহ্নিত আরও পাঁচ জনের ছবিও বিচারকের কাছে জমা দেওয়া হবে।