শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল একটি স্কুলগাড়ি। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। আহত আরও পাঁচ জন। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাঁকড়া এলাকার মুন্সিডাঙা সর্দার পাড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটিতে কোনও পড়ুয়া ছিল না। ছিলেন মুন্সিডাঙার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছয় কর্মী। মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ সৌধ (৫০) নামে এক কর্মীর। আহতদের মধ্যে চার জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দিলেও এক জন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মুন্সিডাঙার ওই স্কুলের ছয় কর্মী এ দিন স্কুলের গাড়িতে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। বিদেশ থেকে আসা পাঠ্যপুস্তক আনতে মাঝে মাঝেই স্কুল থেকে কর্মীদের বিমানবন্দর যেতে হয়। এ দিনও সে কাজেই যাচ্ছিলেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, স্কুল থেকে বেরিয়ে ওই ছয় কর্মী যখন কোনা এক্সপ্রেসেওয়ের দিকে যাচ্ছিলেন, তখনই রাস্তার মোড়ে বছর আটেকের একটি শিশু গাড়ির প্রায় সামনে পড়ে যায়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে চালক খুব জোরে ব্রেক কষতেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের জলাশয়ে পড়ে যায়। জলাশয়টি খুব গভীর হওয়ায় গাড়িটি ক্রমশ ডুবতে থাকে। এ দিকে, দরজা খুলতে না পেরে গাড়ির মধ্যে আটকে যান চালক-সহ স্কুলের ওই কর্মীরা।
ঘটনাটি দেখতে পেয়ে প্রথমে ছুটে আসেন রামপ্রসাদ সাউ নামে এলাকার এক বাসিন্দা। তিনিই আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। এলাকার বাসিন্দারাই সাঁতরাগাছি স্টেশন চত্বরে কর্মরত ঠিকাদার সংস্থাকে বলে মাটি কাটার জেসিপি মেসিন ও মোটা দড়ি নিয়ে গিয়ে গাড়িটিকে জল থেকে তোলার ব্যবস্থা করেন। উদ্ধার করা হয় ওই ছয় ব্যক্তিকে। আহতদের মধ্যে তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। বাকি তিন জনতে নিয়ে যাওয়া হয় আন্দুল রোডের একটা বেসরকারি নার্সিং হোমে। সেখানেই মহম্মদ সৌধকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রামপ্রসাদ বলেন, ‘‘গাড়িটি বোপরোয়া ভাবে চলছিল। তাই শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটল। ভাগ্যিস দেখেছিলাম, না হলে উদ্ধারকাজে আরও দেরি হয়ে যেত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy