Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Traffic Guard

জরিমানার টাকা ছোঁয়ায় মানা ট্র্যাফিকের

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারের ট্র্যাফিক ভবনের একাধিক অফিসার-কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডের প্রায় প্রত্যেকটিতেই গড়ে আট জন করে সংক্রমিত হয়েছেন।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০২:৫২
Share: Save:

করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন একের পর এক পুলিশকর্মী। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে তাই পুলিশকর্মীদের রাস্তায় গাড়ি তল্লাশির সময়ে চালকের নথি হাতে ধরতে নিষেধ করল একাধিক ট্র্যাফিক গার্ড। একই সঙ্গে চালক বা গাড়ির আরোহীদের সঙ্গে দূরত্ব রেখে কথা বলতেও বলা হয়েছে তাঁদের। ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে ট্র্যাফিকর্মীদের জরিমানার টাকা সরাসরি হাতে না নিয়ে ব্যাগে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে লালবাজার।

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারের ট্র্যাফিক ভবনের একাধিক অফিসার-কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডের প্রায় প্রত্যেকটিতেই গড়ে আট জন করে সংক্রমিত হয়েছেন। এই মুহূর্তে বাহিনীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯২০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে সক্রিয় ভাবে সব কাজই করছেন কর্মীরা। প্রতিটি গার্ডেই কর্মীরা আবার করোনার মোকাবিলায় লালবাজারের পরামর্শ ছাড়াও নিজেরা নিজেদের মতো করে সাবধান হচ্ছেন।

সূত্রের খবর, কসবা হেড কোয়ার্টার্স, জোড়াবাগান-সহ বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড পুলিশকর্মীদের ব্যারাকের স্থান পরিবর্তন করেছে। যাতে কেউ কারও সংস্পর্শে না আসতে পারেন। আবার কোনও গার্ড অফিসের এসি বন্ধ রেখে জানলা খুলে রাখছে। তবে বেশির ভাগ জায়গাতেই বহিরাগতদের গার্ডে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গার্ডগুলিতে ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারীরা জরিমানা দিতে আসেন। এক কর্তা জানান, যাঁরা জরিমানা দিতে আসছেন তাঁরা বাইরে থেকেই টাকা জমা দিচ্ছেন। তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডে দেখা গেল, বাইরে দাঁড়ানো এক পুলিশকর্মী জরিমানা জমা করতে আসা লোকজনের থেকে টাকা নিয়ে নিজেই ভিতরে গিয়ে জমা করে দিচ্ছেন। আবার পূর্ব যাদবপুর, উল্টোডাঙা ট্র্যাফিক গার্ডে মাত্র এক জন করে জরিমানার টাকা জমা দিতে পারছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, জরিমানা নেওয়ার সময়ে টাকায় স্যানিটাইজ়ার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। অথবা কোনও প্লাস্টিকে সরাসরি ভরে নেওয়া হচ্ছে, পরে তা গার্ডে এনে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। রাস্তায় গাড়ি তল্লাশির কাজ করা ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা জানান, নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা নিজেদের মতো করেই গাড়ি তল্লাশির বিভিন্ন পন্থা নিচ্ছেন।

ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তা জানান, সবাইকেই পিপিই ব্যবহার করতে বার বার বলা হচ্ছে। ব্যারাকগুলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ট্র্যাফিকের সঙ্গে যুক্ত অফিসগুলিতে কর্মীর সংখ্যা অর্ধেকের কম করে দেওয়া হয়েছে সংক্রমণ ঠেকাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Traffic Guard Traffic Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE