Advertisement
০৪ মে ২০২৪

অভিবাসনের সঙ্গে ঝামেলা, উড়ানে দেরি

অভিবাসন দফতরের সঙ্গে বিমান সংস্থার গোলমালে শুক্রবার কলকাতা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ল এমিরেট্‌সের বিমান।বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে আটটায় ছাড়ার কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু অভিযোগ, ১৯৬ জন যাত্রীকে অভিবাসন দফতরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। পরে তাঁদের ছেড়ে দিলেও বিমানের সেবিকা ও পাইলটদের আটকে দেওয়া হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩৮
Share: Save:

অভিবাসন দফতরের সঙ্গে বিমান সংস্থার গোলমালে শুক্রবার কলকাতা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ল এমিরেট্‌সের বিমান।

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে আটটায় ছাড়ার কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু অভিযোগ, ১৯৬ জন যাত্রীকে অভিবাসন দফতরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। পরে তাঁদের ছেড়ে দিলেও বিমানের সেবিকা ও পাইলটদের আটকে দেওয়া হয়। এমিরেট্‌স নিয়ম মেনে চলছে না, তাই এই ‘শাস্তি’ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

কী নিয়ে গোলমাল? বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বিমান ছাড়ার সময়ে অভিবাসনের হাতে যাত্রীদের তালিকা দেয় বিমানসংস্থা। পাসপোর্ট পরীক্ষার পরে ওই তালিকার সঙ্গে যাত্রীসংখ্যা মেলান অভিবাসন অফিসারেরা। সেখানে বিমানসংস্থার এক প্রতিনিধিরও থাকার কথা। কিন্তু অভিযোগ, ক’দিন ধরে এমিরেট্‌সের কেউ থাকছিলেন না। এ নিয়েই সমস্যা।

বৃহস্পতিবার বিমানসংস্থার তালিকার সঙ্গে অভিবাসনের হিসেব মিলছিল না। ডাকা হয় এমিরেট্‌সের প্রতিনিধিদের। অভিবাসন বলে, তালিকা না মিললে বিমান ছাড়া যাবে না। তবু বিমান নিয়ে উড়ে যান পাইলট। পরে এমিরেট্‌সের প্রতিনিধি তালিকা মিলিয়ে যান।

সূত্রের খবর, এর পরেই শুক্রবার অভিবাসনের দায়িত্বে থাকা অফিসার সুরেশ কুমার চাদভে অভিবাসন অফিসারদের জানিয়ে দেন, এমিরেট্‌সের কর্তারা তাঁর সঙ্গে দেখা করে সমস্যা না মেটানো পর্যন্ত বিমান ছাড়তেই দেওয়া হবে না। ফলে আটকে পড়েন যাত্রীরা। তাঁদের বেশিরভাগেরই দুবাই হয়ে ইউরোপ-আমেরিকার সংযোগকারী উড়ান ধরার কথা ছিল। অনেকেই তা জানান এমিরেট্‌সকে। এমিরেট্‌সও অভিবাসন অফিসারদের সঙ্গে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চায়। লাভ হয়নি। পরে দু’পক্ষের আলোচনায় সমস্যা সমাধানের পরে বিমান ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

কলকাতা থেকে ইউরোপ বা আমেরিকার সরাসরি উড়ান নেই। দু’তিনটি বিমানসংস্থা কেউ দুবাই, কেউ আবুধাবি, কেউ দোহা ঘুরে কলকাতা থেকে যাত্রীদের নিয়ে যায়। দুবাই ঘুরে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে যায় এমিরেট্‌স। এই মূহূর্তে কলকাতা-দুবাই রুটে সপ্তাহে ১৩টি উড়ান চালায় তারা। এ দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে এমিরেট্‌স শেষ পর্যন্ত কী করে, তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন বিমানবন্দরের অফিসারেরা।

বিমানবন্দরের এক কর্তার কথায়, ‘‘সমস্যা বেশি এয়ার ইন্ডিয়াকে নিয়ে। সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার এক অফিসারের সঙ্গে গণ্ডগোল হয় অভিবাসনের। এয়ার ইন্ডিয়া সরকারি সংস্থা। ফলে সরাসরি তাদের কিছু করা যায়নি। বিমানবন্দরে এমিরেট্‌সের বিমান দেখভাল করে এয়ার ইন্ডিয়া। ফলে এমিরেট্‌সকে আটকালে এয়ার ইন্ডিয়াকে উচিত শিক্ষা দেওয়া যাবে বলেই শুক্রবার ওই যাত্রীদের আটকে দেওয়া হয়।’’ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত অফিসারেরা জানান, অভিবাসন দফতরের নিয়ম মেনে চলা উচিত বিমানসংস্থার। এমন খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত সমর্থনযোগ্য নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

immigration flight delayed
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE